মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ:
রূপগঞ্জের কাঞ্চনে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের শিকার হলেন অসহায় বৃদ্ধ কফিল উদ্দিন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষণখালি ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল কফিল উদ্দিন মিয়ার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তার উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার অন্তরালে রয়েছে একটি হত্যা মামলা। কফিল উদ্দিন দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চা, পান ও সিগারেটের ব্যবসা করে আসছেন। তার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করতে দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে একটি পূর্ববিরোধের জেরে উজ্জ্বল মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে হত্যা করা হয়। হামলায় অভিযুক্তরা হলেন আলামিন, হযরত আলী, আব্দুল্লাহ, আখতার এবং মঞ্জু। এই হত্যা মামলা তুলে নিতে নানামুখি চাপ সৃষ্টি করে আসছে। তার ধারাবাহিকতায় এখন মামলার বাদী কফিল উদ্দীন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে হত্যা মামলার আসামীরা।
সম্প্রতি কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা এবং রাজউকের জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। তবে কফিল উদ্দিন ও এলাকাবাসী এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এবং রূপগঞ্জ থানা প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
কফিল উদ্দিনের দাবি, যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি ২০১৭ সালের মামলার তদন্ত প্রভাবিত করেছিলেন, তারাই এখন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, প্রতিপক্ষরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে তার সম্মানহানি করতে এসব মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।
ব্রাক্ষণখালি এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কফিল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করছেন এবং এলাকায় তার ভালো সুনাম রয়েছে। তবে কিছু মহল তাকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে বলে স্থানীয়দের একাংশ মনে করেন।
বর্তমানে কফিল উদ্দিন প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চান। তিনি বলেন, “যদি আমার বিরুদ্ধে সত্যি কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপবাদ দিয়ে আমার ব্যবসা ও পরিবারের ক্ষতি করা অন্যায়।”
একজন দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। কফিল উদ্দিনের দাবি এবং প্রতিপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন জরুরি। প্রশাসন ও গণমাধ্যমের উচিত, নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করা এবং ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দেওয়া।