বৃহস্পতিবার, ১৯ Jun ২০২৫, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নরসিংদীতে বিএসটিআই ও জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান: দুটি মিষ্টির দোকানে জরিমানা দখলকৃত প্রেসক্লাব অবমুক্ত করতে সাংবাদিকদের ৭ দিনের আল্টিমেটাম দাবি নিষ্পত্তিতে নির্ভরযোগ্য অবস্থানে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স শেখ হাসিনাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের পিরোজপুর জেলা বিএনপির সংগ্রামী নেতা শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানার নেতৃত্বে রাজপথে উদ্দীপনা জ্বালানির দাম বাড়বে কি না, জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি জহিরের বিরুদ্ধে ফের বর্বরতা, খালপাড়ে মোখলেসের দুই হাত কেটে দিলো কুড়িগ্রামে ট্রলি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশকে পরাধীন-এর গোলাম বানিয়েছে তাদের মুখে দেশ পরিচালনার কথা মানায় না- সাজ্জাদুল মিরাজ ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে কৃষক বাবার মৃত্যু 
জেলে না হয়েও পেলেন সরকারী প্রকল্পের বাছুর: মাঠ সহায়কের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

জেলে না হয়েও পেলেন সরকারী প্রকল্পের বাছুর: মাঠ সহায়কের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

আগৈলঝাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি:

বরিশালের গৌরনদীতে অটোচালক, মাছ ব্যবসায়ী সহ ভিন্ন পেশার লোকদের মধ্যে প্রকল্পের বাছুর বিতরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় প্রকৃত জেলে পরিবারের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় জেলে পরিবারের একাধিক সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন পূর্বে মৎস্য অফিস থেকে বাছুর বিতরণ করা হয়। বিতরণের ওই তালিকায় খোকন হাওলাদার নামের এক অটোচালকের নাম রয়েছে। অটোচালক খোকন কোন জেলে না হয়েও প্রকল্পের আওতায় বাছুর পেয়েছেন। একই ভাবে মাছ ব্যবসায়ি কালাচান রায়, কৃষক ছালাম প্যাদা সহ প্রকৃত জেলে নয় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে প্রকল্পের বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। বাছুর বিতরণের এমন অনিয়মে হতবাক জেলেরা অভিযোগ করে আরও বলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অগোচরে প্রকল্পের কর্মচারী নাজমুল হোসেন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রকৃত জেলে নয়, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে বাছুর বিতরণের তালিকা করেছেন। যে কারনে প্রকৃত জেলেরা বাদ পরেছে।
অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্য অভিযোগ করে বলেন, তার ওয়ার্ড থেকে বাছুর বিতরণের নামে দুইজনের কাছ থেকে দালাল চক্রের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলো নাজমুল। বিষয়টি আমি জানতে পেরে মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দেশীয় প্রজাতীর মৎস্য ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের মাঠ সহায়ক কর্মী নাজমুল হোসেন বলেন, যাদেরকে বাছুর দেওয়া হয়েছে তারা প্রকৃত জেলে। ঘুষের টাকা ফেরতের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন। গৌরনদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ দেবনাথ বলেন, তালিকা প্রণয়নের সময় আমি ষ্টেশনে ছিলাম না। জেলে ব্যতিত অন্য কেউ বাছুর পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরও বলেন, বাছুর দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্য আমাকে অবগত করেন। পরবর্তীতে সুবিধাভোগীর কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম এবং প্রাথমিক ভাবে তাকে সতর্ক করা হয়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com