শনিবার, ১৯ Jul ২০২৫, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ পুলিশের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সারসী অভিযানে তিন চাদবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো: সোনাই ওরফে চান্দা সোনাই বিএনপির দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক দলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক। এবং আলমগীর ও আমির হোসেন ঢাকা জেলা যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং ঢাকা জেলা যুবদলের প্রভাবশালী এক নেতার নির্দেশে দীর্ঘ দিন ধরে কদমতলী এলাকায় চাঁদাবাজি করতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারের সময় তিন চাদাবাজের কাছ থেকে চাদার টাকা বাবদ দুই হাজার তিনশত পঞ্চাশ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা দক্ষিন ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় চাদাবাজির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালীন সময় সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ সদস্যরা জানতে পারে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন আগানগর সাকিনের কদমতলী গোলচত্ত্বরস্থ বনফুল মিষ্টির দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর কতিপয় ব্যাক্তি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়া রাস্তার দুইপাশে ফুটপাতে অবস্থিত অনুমান ৫০/৬০ টি ভাসমান (অস্থায়ী) বিভিন্ন দোকান হইতে প্রতিদিন ১০০/১৫০ টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে ।
এ খবর পেয়ে কদমতলী গোলচত্ত্বরস্থ বনফুল মিষ্টির দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর উপস্থিত হইলে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঁদা আদায়কারী আসামীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় ডিবি পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও আরো ৪/৫ জন পালিয়ে যায়।
আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আসামীরা স্বীকার করে যে, তাহারা বেশ কিছুদিন যাবৎ ঘটনাস্থল কদমতলী গোলচত্ত্বর এলাকায় রাস্তার দুইপাশে ফুটপাতের বিভিন্ন ভাসমান অস্থায়ী দোকানদারদের নিকট থেকে প্রতিদিন ১০০/১৫০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে সেই টাকা তাদের সহযোগীদের সাথেও ভাগ বাটোয়ারা করে।
আসামীদের ভয়ে ঘটনাস্থল এলাকার ভাসমান দোকানদার সহ জনসাধারন কোন প্রতিবাদ করিতে সাহস পায়না।
আসামীরা রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ ঘটনাস্থল এলাকায় চাঁদাবাজি করিয়া আসিছিলো বলে জানা যায়।