বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে চাঁদা না-পেয়ে একদল অসৎ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মদদে মব সৃষ্টি করে বাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাভোগ করানোর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নারী মনিকা আক্তার। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মনিকা আক্তার জানান, তার সাবেক স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান সেলিমের কাছ থেকে দানপত্রের মাধ্যমে পাওয়া কলেজ গেইট, আমানতবাগ এলাকার বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছিল। প্রথমে তারা বাড়ির বিনিময়ে অগ্রিম চাঁদা দাবি করে, যা তিনি দিতে অস্বীকার করলে ওই চক্র মিথ্যা নাটক সাজিয়ে মব সৃষ্টি করে জোরপূর্বক বাড়ি দখল করে নেয়।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ২৭ মে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে গেলে বিএনপি’র কয়েকজন অসৎ নেতা তার সাবেক স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায় অবৈধ প্রবেশ করে। সেলিনা আক্তার নামে এক নারী ঘটনাস্থলে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেন। পরে পুলিশ তাকে ও সন্তানদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলেও পরদিন চাপের মুখে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মনিকা আক্তারের দাবি, এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই; বরং এগুলো ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। এ ঘটনায় তিনি দুই মাসের বেশি কারাভোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দখলকৃত বাড়ি ফেরত এবং নিজ ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সঙ্গে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি বলেন, “আমি একজন মিডিয়া কর্মী। আমার জীবনের প্রকৃত সত্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই, যাতে ন্যায্য বিচার পেয়ে আমি ও আমার সন্তানরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।”
মনিকা আক্তার সরকারের নিকট সঠিক বিচার ও মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণ ও গণমাধ্যমের সহায়তায় তিনি তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন বলে বিশ্বাস করেন।