সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাকরির অবসান, বাধ্যতামূলক ছুটি, কারণ দর্শানো ও তদন্ত নোটিশ প্রত্যাহার চেয়ে স্বপদে ফিরতে চান বৈষম্যের শিকার আব্দুল খালেক মিয়া। ইসলামী ইন্সুরেন্সের ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’ দাবি করে- তিনি কোম্পানির ‘সিইও পদে’ যোগদানে সুযোগের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
১৪ সেপ্টেম্বর আইডিআরএর কাছে পাঠানো চিঠিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদবী ব্যবহার করেন খালেক মিয়া। জানান, অসুস্থতার কারণে ১৭ আগস্ট ইসলামী ইন্সুরেন্স থেকে ছুটি নেন। ছুটিতে থাকা অবস্থায় ২০ সেপ্টেম্বর কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তাকে চাকরি থেকে অবসান করে চিঠি দেন।
কিন্তু বীমা আইন যথাযথ পরিপালন না করায় চাকরির অবসানের সিদ্ধান্ত অকার্যকর এবং সিইও পদ বহাল করে ২৫ আগস্ট ইসলামী ইন্স্যুরেন্সকে নির্দেশনা দেয় আইডিআরএ।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, আইডিআরএর নির্দেশনা ভঙ্গ করে ওই দিনই ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। একসাথে বেআইনি ও অমানবিকভাবে বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করে শোকজ করা হয়।
শোকজের জবাবও দেন খালেক মিয়া। এছাড়াও অসুস্থতার কারণে আবারও ৩১ আগষ্ট ছুটির আবেদন করেন। এই ছুটির মেয়াদ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
খালেদ মিয়া এখন কিছুটা সুস্থ বোধ করছেন। ইতোমধ্যেই চিকিৎসক তাকে কাজে যোগদানের পরামর্শ দিয়েছেন। এখন চাকরির অবসান, বাধ্যতামুলক ছুটি, শোকজ এবং ৩ সেপ্টেম্বরের তদন্ত নোটিশ প্রত্যাহার চেয়ে ইসলামী ইন্সুরেন্সে নিয়মিত অফিস করার অনুমতির আবেদন করেন।
এছাড়াও চিঠিতে বীমা আইন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা, কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি এবং আইডিআরএর নিয়োগপত্র অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান আব্দুল খালেক।
এর আগে ইসলামী ইন্সুরেন্স থেকে অপসারিত হন মো. আব্দুল খালেক মিয়া।
এ প্রসঙ্গে তিনি অর্থবাংলাকে বলেন, “কোম্পানির নানা অবৈধ কর্মকান্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন। অপরাধে যুক্ত না হওয়ায় পরিচালনা পর্ষদের একটি অংশ, ভাইস চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি ও সিএফওসহ চিহ্নিত সংঘবদ্ধ চক্র ক্ষিপ্ত হয়। কোন রকম আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে তাকে অপসারণের নির্দেশ দেয়। বিষয়টি আইনের লংঘন হওয়ায় তিনি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে সহায়তা চাচ্ছেন।”