রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪৮ অভিবাসীর মৃত্যু

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪৮ অভিবাসীর মৃত্যু

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:তিউনিসিয়ার পূর্ব উপকূলে নৌকাডুবিতে অন্তত ৪৮ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় ৬৭ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। আহতদের মধ্যে একাধিক তিউনিসিয়ানও রয়েছেন। সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে অন্তত ১৮০ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে ১০০ জনই তিউনিসিয়ার। নৌকাটি কারকেন্নাহ দ্বীপ থেকে ৫ মাইল ও সাফেক্স শহর থেকে ১৬ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার শেষ রাত থেকে উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে।
নৌকাডুবি থেকে বেঁচে যাওয়া একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, নৌকাটি ডুবতে শুরু করলে কোস্টগার্ডের হাত থেকে বাঁচতে ক্যাপ্টেন নৌকা চালানো বন্ধ করে দেন।
ওয়ায়েল ফেরজানি নামের আরেকজন জীবিত ব্যক্তি জানান, নৌকাটিতে ৯০ জনের মতো ধারণক্ষমতা ছিল। অথচ নৌকায় উঠেছিল ১৮০ জন; যা নৌকার ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। এক পর্যায়ে নৌকায় পানি ঢুকতে শুরু করে।
তিনি আর বলেন, যারা সাতার জানত তারা লাফ দিয়েছে, বাকিরা ডুবে গেছে। তবে আমরা নৌকাতেই ছিলাম। সকাল পর্যন্ত আমরা নৌকায় মোট পাঁচজন ছিলাম। তারপর আমাদের সাহায্যের জন্য মাঝিরা আসলেন। এরপর সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলেন।
খবরে বলা হয়, বেকার তিউনিসিয়ান এবং কিছু আফ্রিকানরা কাজের খোঁজে প্রায়ই নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির সিসিলি যান।
ঘটনার দিন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভানি সিসিলি সফরে বলেছিলেন, দ্বীপকে অবশ্যই ইউরোপের শরণার্থী শিবির হওয়া বন্ধ করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম বলছে, চলতি বছর নৌকায় করে ৩২ হাজারের বেশি মানুষ ইউরোপে পাড়ি দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৬০ জনই মারা গেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে যাবার সময়।
বিবিসি বলছে, গত বছর থেকে ইউরোপে যাওয়ার নতুন পথ হিসেবে তিউনিসিয়াকে বেছে নিয়েছে অভিবাসীরা। বিশেষ করে লিবিয়াতে মানব পাচারকারীদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যেতে তারা এ পথ বেছে নিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com