বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: গণপিটুনির ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের ভয়ঙ্কর রূপ’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে এ ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে পার্লামেন্টে আইন তৈরিসহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
গণপিটুনিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার গণপিটুনি সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানিতে এমন আদেশ দেন আদালত। আগামী ২৮ আগস্ট এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি হবে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কোনও নাগরিকের আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের ঘটনা যেন শক্ত হাতে দমন করা হয়।
আদালত বলেছে, ‘গো-রক্ষার নামেও আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই কারও। দেশের বিভিন্ন স্থানে গো-রক্ষার নামে হওয়া সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। ভয় এবং অরাজকতার পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আইনের শাসন কায়েম করা সরকারের কর্তব্য।’
আদালতে কেন্দ্রীয় সরকারের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পি এস নরসিমহা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার এতে ততক্ষণ হস্তক্ষেপ করতে পারে না, যতক্ষণ না রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে আবেদন জানায়।
গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সব রাজ্যকে গো-রক্ষার নামে সহিংসতা বন্ধের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি প্রত্যেক জেলায় এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। রাজস্থান, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালত তাদের কাছে এ ব্যাপারে জবাব চেয়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের জেরে গণপিটুনির বিষয় উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা, তুষার গান্ধী ও অন্যরা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির সমন্বিত বেঞ্চ গণপিটুনি ইস্যুতে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস