সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
মূলা আমাদের দেশের শীতকালীন সবজি। মূলাতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সাধারণত সাদা, লাল ও হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। ১০০ গ্রাম মুলা থেকে ১৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৬ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ২৫ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ১৪.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ২৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.২৮ মিলিগ্রাম জিংক এবং ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।
মূলার রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলী, বৃহদন্ত্র, কিডনি ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। মূলার ফাইটোস্টেরলস হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে মূলা রক্তের বিলিরুবিন কমিয়ে তা একটি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসে। খবর জাগো নিউজ’র।
মূলা মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্ত করে এবং দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। অর্শরোগের প্রধান কারণ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। প্রচুর আঁশসমৃদ্ধ সবজি মূলা খাদ্যের পরিপাকক্রিয়া গতিশীল করে হজমে সহায়তা করে, যা অর্শরোগের আশঙ্কা নির্মূল করে দেয়। রক্ত পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। একইসঙ্গে লিভার এবং পাকস্থলীর সব দূষণ ও বর্জ্য পরিষ্কার করে থাকে। মূলা কিডনিরোগসহ মূত্রনালির অন্যান্য রোগে উপকারী।
শ্বেতরোগের চিকিৎসায় মূলা ফলদায়ক। অ্যান্টি কারসেনোজিনিক উপাদান সমৃদ্ধ মূলার বীজ আদার রস এবং ভিনেগারে ভিজিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে অথবা কাঁচা মূলা চিবিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। মূলার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে কফ, মাথাব্যথা, অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পোকামাকড়ের কামড় থেকে সৃষ্ট ক্ষত নিরাময়ে মূলার রস কার্যকরী।
জ্বর এবং এ কারণে শরীর ফুলে যাওয়া কমাতে মূলা খুব ভূমিকা রাখে। তবে যাদের থাইরয়েড গ্রন্থি, বুকজ্বলার সমস্যা আছে, তাদের মূলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।