বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন

সময় এসেছে নীলফামারীকে একটি আধুনিক শহর গড়ার!

সময় এসেছে নীলফামারীকে একটি আধুনিক শহর গড়ার!

মোঃ ইব্রাহিম আলী সুজন:-এলাকার উন্নয়ন কে না চায়। সকলেই চায়। এটাই সত্য। যা কোনদিন হবার নয়, আমরা সেটাও চাই। একটি উপজেলায়, জেলা গঠন কখনোই সম্ভব নয়। আমরা সেটাও চাই। যেমন সৈয়দপুর একটি উপজেলা, তারা অনেকদিন যাবত সেটাকে জেলা দাবী করে আসছে। জবাবে কোন সরকার সায় দিয়েছে, এমন কথা কোনদিন শুনি নাই। তবুও তারা আশা করে, একদিন জেলা হবে। যাক, আশা থাকা ভাল। আসল কথায় আসা যাক। ১৯৮৪ সালে সমগ্র বাংলাদেশে ১৯ টি জেলাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে, মহকুমাগুলোকে জেলায় রুপ দেয়া হয়। এতে দেশে জেলার সংখ্যা ৬৪ তে উন্নীত হয়। আমরাও অনেক সপ্ন দেখতে শুরু করলাম। আমাদের সাথে যে সকল মহকুমা জেলা ঘোষিত হয়েছে সেগুলো অবকাঠামোগত দিক থেকে অনেক দুর এগিয়ে গেছে। আমরা পারিনি এগোতে। এর অবশ্য নানাবিধ কারনও রয়েছে। কয়েকটি কারন উল্লেখ করলাম। ১৯৮৬ সালে নীলফামারী-১ এর সরকারী দলের সংসদ সদস্য জনাব শফিকুল গনি সপনকে গণপূর্ত মন্ত্রী নিযুক্ত করলে, তিনি নীলফামারীতে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর সংবরধনা সংবর্ধনা সভায় ঘোষনা দেন যে, নীলফামারীকে একটি আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তুলবেন। তার তিন মাসের মাথায় তাকে রদবদল করে বিমানমন্ত্রী করেন সরকার। তবুও নীলফামারীকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে কয়েকটি রুপরেখায় সভাও করেছিলেন। কিছুদিন পর হঠাৎ জানা গেল সোনা চোরাচালানে জরিত থাকায় তাকে মন্ত্রীত্ত থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নীলফামারীর উন্নয়ন থমকে দাঁড়িয়ে গেল। নীলফামারী ২ ( সদর) আসন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সরকারী দল জাতীয় পাটির টিকেটে জয়লাভ করেন প্রয়াত দেওয়ান নুরুন্নবী আহমেদ। তেনাকে ৮৮ সালে সরকার জাতীয় সংসদের সরকারী দলের হুইপ মনোনিত করেন। তিনিও নীলফামারীকে সাজাতে, কিছু ছোট ছোট প্রকল্প নিয়ে এগোতে থাকেন। ১৯৮৯০ সালের ২২ জুলাই উপজেলা নির্বাচনে জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান আহমেদ হাসান বিজয়ী হলে, আবারো। উন্নয়ন থেমে যায়। এরশাদ পতনের পর ১৯৯১ সালের ৫ম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলেও, নীলফামারী সদরে জয় পান ১৫ দলীয় জোট নেতা নৌকা প্রতীকধারী জনাব সামসুদ্দোহা। নীলফামারী সকল উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়। ১৯৯৬ সালে অসহযোগ আন্দোলনে বি এন পি সরকার পদত্যাগ করলে একই বছর ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও নীলফামারী সদরে জয় পান, তৎকালীন জাপানেতা লাংগল প্রতীকধারী জনাব আহসান আহমেদ হাসান। তবুও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিকতায় নীলফামারীতে তখন একটি ইপিজেড প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলে, নীলফামারী সদরে জয় পান দেশ বরণ্যে জাতীয় নেতা।

মাটিও মানুষের অহংকার জনাব আসাদুজ্জামান নুর। শুধু বিরোধী দলের হওয়ায় ৫ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত করে রাখে, তৎকালীন বিএনপি সরকার। তবুও তিনি থেমে থাকেন নাই। নিজের পকেটের টাকায় গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসায় বিপুল পরিমান ঔষধপত্র সহ জনকল্যানে মানুষে ভালবাসায় সিক্ত হয়ে সেবা দিয়ে এসেছেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে, নীলফামারীতে জয় পান সরকারী দলের নৌকা প্রতীকধারী জনাব আসাদুজ্জামান নুর। এবার শুরু হয় উন্নয়ন পরিকল্পনা। ৩ মাসের মাথায় উপজেলা নির্বাচনে নীলফামারী সদরে জয় পান বিরোধীদল। তবুও উন্নয়ন থেমে থাকেনি কখনো। উন্নয়ন তার নিজের গতিতে চলতে থাকে। ছোট ছোট প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত দৃশ্যমান হতে লাগল। ৫ জানুয়ারী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সদরে জয় পান নৌকা প্রতীকধারী টানা ৩ বারের নির্বাচিত জনাব আসাদুজ্জামান নুর। তাকে সরকার কেবিনেট মন্ত্রী নিযুক্ত করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নীলফামারীবাসীকে সাথে নিয়ে ছোট-বড়, মাঝারি উন্নয়নের অনেকগুলি মহা পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে থাকেন। নূরের সফলতায় সকলদীক থেকে আন্তরিক ভাবে সহায়তা করেন, দক্ষ উন্নয়নের রুপকার পৌরমেয়র জনাব দেওয়ান কামাল আহমেদ।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com