মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০২:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রেমিক যুগল গলায় দড়ি দিয়েছে। প্রেমিক মারা গেলেও প্রেমিকার অবস্থা
আশংঙ্কাজনক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আজ রবিবার (৬ জানুয়ারী) সকালে
নীলফামারী জেলা সদরের সংগলশী ইউনিয়নের বড় সংগলশী নেথা বানিয়াপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আল আমিন। সে
এবার ভকেশনার থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার প্রেমিকা আপন চাচা জিকরুল
হোসেনের মেয়ে জেসমিন। মেয়েটি অষ্টম শ্রেনী হতে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে।
দুইজনের বয়স ষোল। একই স্থানে তাদের বসতভিটা। চাচাতো এই ভাই বোনের মধ্যে
গড়ে উঠে প্রেমের সর্ম্পক। সম্প্রতি তাদের প্রেমের সর্ম্পক প্রকাশ হয়ে
পড়ে। পরিবারের কাছে বিয়ের দাবি তোলে এই প্রেমিক যুগল। কিন্তু বাদ সাধে
মেয়ের বাবা। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দেখা দেয় বিবাদ। শনিবার রাতে নিজ
ঘরে সবার অজান্তে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে প্রেমিক আল আমিন। সকালে
ঘুম থেকে না উঠায় ডাকাডাকি। কোন সারা শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে
পরিবারের লোকজন। দেখতে পাওয়া যায় আল অমিনের দেহ ঝুলছে। ছড়িয়ে পড়ে খবর।
প্রেমিকের আত্মহত্যা সহ্য করতে না পেরে জেসমিনও নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে
গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে দরজা ভেঙ্গে তাকে দ্রুত
উদ্ধার করে নিয়ে আসে সদর আধুনিক হাসপাতালে।অবস্থা আশংঙ্কাজনক অবস্থায়
তাকে পাঠানো হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বিকাল পনে ৫টা পর্যন্ত
খবর পাওয়া যায় জেসমিন এখনও আশংঙ্কামুক্ত হয়নি। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান আল
আমিনের আত্মহত্যায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply