শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
অন্তর রায়: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ধানের মুল্য না থাকায় হতাশ হয়ে পরেছে কৃষক।দিন দিন ধানের দাম পরতির দিকে থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষককে।
আমন ধান ডিসেম্বর মাসে কৃষকরা ঘরে তুললেও নায্যমুল্য না থাকায় বেশিরভাগ কৃষকের ঘরেই রয়ে গেছে ধান।শুধুমাত্র সংসদ নির্বাচনের দুইদিন পর দুইদিনের জন্য ধানের মন সাতশত টাকা দরে বিক্রি হলেও সময় গড়ার সাথে সাথে কমতেই আছে ধানের দাম।
বর্তমানে একবস্তা ধানের দাম এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ৫০টাকা। যা কৃষকের উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম।
যেখানে এক মন ধান উৎপাদন করতে প্রায় সাড়ে পাচশত টাকা খরচ পড়ে যায় সেখানে ধানের মন বিক্রি করতে হছে সাড়ে পাচশত টাকা দরেই।ধানের দাম না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ধানের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো।
এখনো অনেকের ঘরেই রয়ে গেছে ধান। এদিকে আর কিছুদিন পরেই উঠবে নতুন ধান। আমন ধান বিক্রি না করতেই নতুন ধান ঘরে উঠলে বিপাকে পড়ে যাবে কৃষকরা।উপজেলার নুরন্নবী নামে এক কৃষক জানান, কি কারনে ধানের দাম নেই সেটা মাথায় আসছেনা।
এদিকে ধানের দাম না থাকলেও ধান উৎপাদনের জন্য সার,কীটনাশক,ভিটামিনসহ পানির উচ্চমুল্যে নাভিশ্বাস উঠেছে কৃষকদের। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবাররা হয়ে পড়েছে অসহায়। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেশিরভাগেই ধানের উপর নির্ভরশীল।
ধানের নায্যমুল্য না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।তরিকুল নামে এক চাল ব্যবসায়ী জানান,বর্তমানে ধানের বাজারমুল্য একেবারেই কম হলেও সেই তুলনায় চালের দাম কমেনি।কমেনি ২৮ বা মিনিকেট চালের দাম।
এদিকে প্রতিদিনেই ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান করেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক কৃষক জানিয়েছেন এবারো ধানের নায্যমুল্য পাওয়া না গেলে ধান আবাদেই তারা ছেড়ে দিবেন।
তারা বলছেন লোকসান করে ধান আবাদ করে লাভ কি?কৃষক ঝড়ু মোহাম্মদ জানান, প্রতিবিঘা জমিতে পানি দিতে দুই হাজার টাকা লাগে। আবার প্রতি বিঘা ধান কাটতেও লাগে প্রায় দুই হাজার টাকা।তিন দফায় সার দিতে হয়। দিতে হয় থিয়োভিট ও কিটনাশক।
এ সবের পরেও ধানে নানা রোগজীবানু আক্রমন করে। সেখানেও লাগে টাকা। দেখা যাচ্ছে উৎপাদন খরচের তুলনায় এখন কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে ধান।বিষয়টি নজর দিতে সরকারের খাদ্য বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে অত্র এলাকার কৃষকরা।