বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
অন্তর রায় প্রিন্স, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: আগামী ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আসন্ন ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড এর শ্রমিক-কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে প্রার্থীরা। প্যানেলের একটি হলো উজ্জল-এনায়েত পরিষদ, অপরটি রহমান-কুদ্দুস পরিষদ।নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে রবিবার(১৪ এপ্রিল) একটি পক্ষের নির্বাচনী অফিসে শ্রমিকদের বের করে দিয়ে সেখানে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে।জানা যায়, ঠাচিক শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উজ্জল-এনায়েত পরিষদ নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আখা চাষী সমিতি অফিস ও মিলের প্রবেশ পথে একটি অস্থায়ী অফিস সহ মোট দুটি অফিস ব্যবহার করছে। অপরদিকে রহমান-কুদ্দুস প্যানেল নির্বাচনী অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে ঠাকুরগাঁও সুগার মিল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি।কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় উজ্জল-এনায়েত এর পক্ষ নিয়ে এনায়েত কুরাইশীর ভাতিজা সোয়াত ও স্থানীয় পয়গাম নামে এক কসাই রহমান-কুদ্দুস পরিষদের নির্বাচনী অফিস তথা ঠাকুরগাঁও সুগার মিল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালিয়ে সেখানে অবস্থানরত শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘœ হওয়া সহ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে শ্রমিকরা।নির্বাচনী অফিসে হামলাকালে উপস্থিত ললিত চন্দ্র বর্মন ও আনছার আলী জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমরা অফিসে ১০-১২ শ্রমিক নির্বাচনী আলাপ আলোচনা করছিলাম এমন সময় প্রতিপক্ষ এনায়েত কুরাইশীর ভাতিজা সোয়াত ও স্থানীয় পয়গাম কসাই নামে এক ব্যক্তি অফিসে এসে চেয়ার-টেবিল থাপরা-থাপরি করে উপস্থিত শ্রমিকদের স্থান ত্যাগ করতে বলে।আমরা স্থান ত্যাগ না করলে আমাদের উপর হামলা চালানোর হুমকি দিলে মান-সম্মানের ভয়ে আমরা সকলে বেড়িয়ে যাই। তখন তারা অফিস গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় প্রার্থীরা কেউ ছিলেন না, তারা নির্বাচনী প্রচারণার কাজে বাহিরে অবস্থান করছিলেন। পরে তাদের মুঠোফোনে ঘটনা অবগত করা হয়। এদিকে এ বিষয়ে মিলের শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নেওয়া রহমান-কুদ্দুস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও বাংলাদেশ সুগার মিলস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস জানান, রবিবার সন্ধ্যায় আমরা প্রার্থীরা এক হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাহিরে অবস্থান করছিলাম, এমন সময় মোবাইলে জানতে পারি আমাদের নির্বাচনী অফিস তথা ঠাচিক শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। ঘটনা জানার পর সাথে সাথে আমরা নির্বাচনী অফিসে ফিরে আসি এবং বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে অবহিত করি। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে এ ধরণের কার্যকলাপ সত্যিই দু:খজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।অপরদিকে উজ্জল-এনায়েত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এনায়েত কুরাইশীর কাছে প্রতিপক্ষের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকদের জন্য নির্ধারিত অফিস নির্বাচনী অফিস হিসেবে কেউ ব্যবহার করতে পারে না। তাছাড়া সেখান নির্বাচনী অফিস বানিয়ে প্রত্যেক শ্রমিককে ডেকে ১ থেকে ২ হাজার টাকা করে হাতে ধরিয়ে ভোট চাচ্ছে রহমান-কুদ্দুস পরিষদ। তাই স্থানীয়রা তা বন্ধ করে দিয়েছে।তবে শ্রমিকদের ডেকে টাকা প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রহমান-কুদ্দুস পরিষদের সভাপতি প্রার্থী আ: রহমান। তিনি বলেন, এটা তাদের মনগড়া ও বানোয়াট।