সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানি এক কিশোরী ছাত্রীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মেয়েটি ভ্রমণ ভিসায় মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাই ওয়েজ রোডের বাসিন্দা এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেখানে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেছিলেন হুমায়ুন। গত বছর ২২ নভেম্বর হুমায়ুনের স্ত্রী পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগম ছয় মাসের ভিসায় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। বাংলাদেশে আসার পর তিনি উত্তর গোপালপুর গ্রামে হুমায়ুনের বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে ওঠেন। সেখানে উঠার পর থেকেই হুমায়ুনের আরেক ভাই আবুল হোসেনের ছেলে বখাটে আল আমিন নিজের চাচাতো বোন সম্পর্কের মেয়েটিকে উত্যক্ত করতে থাকে।
পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাবার কথা শুনে বখাটে আল আমিন ক্ষুব্ধ হয়। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় আল আমিন তার চাচা আব্দুল ওয়াদুদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে কৌশলে অপহরণ করে। এরপর আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় ১৭ এপ্রিল (বুধবার) রাতে আল আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
পরে থানা পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দি অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আল আমিনের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু মেয়েটি বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় তার জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।’