সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ’র চাউল বিতরনকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৫নং গয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (২নং ওয়ার্ডের) সদস্য মশিউর রহমান জাল স্লিপের মাধ্যমে চাউল উত্তোলনকালে হাতে-নাতে ধরা পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, চলতি সপ্তাহের গত শনিবার হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিশেষ বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ করার সময় জাল স্লিপধারীরা জাল স্লিপ দিয়ে চাউর উত্তোলনকালে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক টের পেয়ে নিজেই হাতে-নাতে জাল স্লিপসহ কয়েকজনকে আটক করে বলে জানিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ইউপি সদস্য মশিউর রহমানকে ৩১০টি স্লিপ দেয়া হয়েছিল তার ওয়ার্ডের দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করার জন্য। কিন্তু সে কম্পিউটার স্ক্যানের মাধ্যমে স্লিপ জাল করে মোট ৬২০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করে। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হকের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, চাইল বিতরনের সময় মশিউর রহমানের বিতরণ করা স্লিপ দ্বারা চাউল উত্তোলনকালে স্লিপগুলোর কালার হালকা দেখে বিষয়টি টের পেয়ে ইউপি সদস্য মশিউর রহমান ও তার সঙ্গে ওই স্লিপ দিয়ে চাউল উত্তোলনকারী কয়েক জনকে আটক করি। আটক করার পর তারা কান্না করে মাফ চাইলে তাদেরকে বলা হয় সন্ধ্যায় আলোচনার মাধ্যমে বিষটি দেখা হবে। চেয়ারম্যান শামসুল হক আরো বলেন, এ ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে হয়তো বা বিপদে ফেলার ইউপি সদস্য মশিউর এই ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করেছিলেন। এ ব্যাপারে সদস্য মশিউর রহমানকে খুঁজে পাওয়া না গেলে তাকে মুটোফোনে বার-বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নাই। উক্ত ঘটনার বিষয়ে উপজেলা ত্রাণ শাখার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষটি অবগত হওয়ার সাথে-সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং সত্যতা পেয়েছি। বিষটি দ্রুত সমাধান করার জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমাধান না হলে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা হয়েছে। চাউল বিতরনের শেষ মুহুর্তে প্রকৃত কার্ডধারী চাউল না পেয়ে ইউ.পির চেয়ারম্যানের অফিসে হট্রগোল সৃষ্টি করে। তখন চেয়ারম্যান দিশেহারা হয়ে পড়ে।