শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: অবশেষে জয় হল প্রেমের। এত কাঠখড় পোড়ানোর ফল পেলেন মাফুজা। তাঁর প্রেমের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হলেন প্রেমিক জিন্নাত আলি। সোমবার নিজের প্রেমিককে ফিরে পাওয়ার জন্য ধরনায় বসেছিলেন মাফুজা। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চলে নিঃশব্দ বিদ্রোহ। নিজের দাবিতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনড় ছিলেন তিনি। তাই শেষ পর্যন্ত মাফুজার কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হন জিন্নাত। আজ বিকেলে দুজনের চার হাত এক হল। মুসলিম আইন মেনে দু’জনের রেজিস্ট্রি হয়।
নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার রাধাকান্তপুরে মাফুজার এই ঘটনা নিয়ে গতকাল থেকে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রেমিক জিন্নাতকে যতই ভালবাসুন না কেন, প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিমান উগরে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, গত তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে জিন্নাত আলির সম্পর্ক। প্রেমে যখন পড়েছেন, তখন মাফুজার কাছে কিছুই বাধা ছিল না। তাই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও হয়। এমনকী জিন্নাত যখন প্রেমের খাতিরে মাফুজার থেকে অর্থ সাহায্য চান, না করেননি মাফুজা। প্রেমিককে সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু টাকা পয়সাও দিয়েছেন।
অথচ বেশ কিছুদিন ধরে জিন্নাত তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে রাজি হচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন মাফুজা। এও বলেন, জিন্নাত তাঁর সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তিনি তাঁর প্রেমিককে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। তাঁকেই বিয়ে করবেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর তিনি প্রেমিকের সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন। অথচ এখন তাঁর প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। সেই কারণেই তিনি প্রেমিকের বাড়ি ছুঁটে এসেছেন।
তবে মাফুজার হাতে কোনও ব্যানার, পোস্টার বা অন্য কিছু ছিল না। ফলে, “আমার ভালবাসার দাম দাও” ধরনের কিছু লেখাও ছিল না তাঁর কাছে। স্রেফ জিন্নাতের সঙ্গে কাটানো কিছু ভাল মুহূর্ত সঙ্গে করে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। যার ফল মিলল প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর। মাফুজা ধরনায় বসার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন জিন্নাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পারেন। মঙ্গলবার বিকেলে ফিরে আসেন প্রেমিকার কাছে।
জিন্নাতকে ফিরে পেয়ে হাসি ফুটেছে মাফুজার মুখেও। ‘আন্দোলন’ সার্থক হয়েছে তাঁর। বিশেষ করে এখন তাঁরা বিবাহিত। স্বামীকে পাশে পেয়ে তাই পুরনো ঘটনা ভুলে সুখে ঘর করতে চান মাফুজা। সাংবাদিকদের অনুরোধে নববধূর হাত ধরে ছবি তুললেন জিন্নাতও।