সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ মাস পর গৃহবধূ সাহেরা আক্তার মিতু হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার পিবিআই ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু বক্কর সিদ্দিক মিতু হত্যার রহস্যের তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গৃহবধূ মিতুর বাপের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় লাহাপাড়া গ্রামে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের কামারিয়াপুল নামক স্থানে রেল লাইনের পাশের ডোবা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মামলা রুজু হয়।
পিবিআই তদন্তকালে গত ২৯ জুন সন্দিগ্ধ হিসেবে ত্রিশালের বালিপাড়া রেলস্টেশন এলাকা থেকে আবুল কালামের ছেলে মোখলেছুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
জবানবন্দীতে মোখলেছুর উল্লেখ করেন, তার সহযোগীদের নিয়ে মিতুকে প্রলোভন দিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ট্রেনে রাত দেড়টার দিকে ত্রিশালের ধলা স্টেশনে পৌঁছে। পরে সকলে মিলে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে রেল লাইনের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে মিতুর হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। আবারও ধর্ষণ করতে অন্যত্র নিয়ে যাবার সময় মিতু দৌঁড় দিলে তারা মাথার পেছনে পাথর দিয়ে আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত জখম হয়ে সে ছটফট করতে থাকে। তখন রেল ব্রিজের নিচে ডোবার কাঁদা পানিতে চুবিয়ে মিতুকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, মামলাটি বর্তমানে ময়মনসিংহ আদালতে বিচারাধীন। পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।