মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পানামায় ‘শয়তান সম্প্রদায়’র অদ্ভুত ধর্মীয় আচরণবিধি মেনে না চলার কারণে সাত জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ একটি গণকবর পুঁতে রাখে সম্প্রদায়টির অনুসারীরা। পরে কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মরদেহ। নিহত সাত জনের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী ও তার পাঁচ সন্তান রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পানামার ওই অঞ্চলটি আদিবাসী ধর্মীয় সম্প্রদায় ‘নিউ লাইট অব গড’ নিয়ন্ত্রণ করে। গত তিন মাস ধরে আদিবাসী এই সম্প্রদায়টি ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করারই তাদের হত্যা করা হয়েছে। পরে গির্জা থেকে অনেক দূরে একসঙ্গে সবাইকে কবর দেওয়া হয়েছে।
রাফায়েল বালয়েস নামের ওই অঞ্চলের এক সিনিয়র প্রসিকিউটর জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া তথ্য মতে, এক উপাসনালয়ে কয়েকটি পরিবারকে আটকে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় ওই এলাকায়। ওই অভিযানে ১৪ জন বন্দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা ধর্মীয় সম্প্রদায় ‘নিউ লাইট অব গড’র ধর্মীয় রীতির বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন। রীতি অনুযায়ী যেটা পাপ। নিহতরা পাপের প্রায়শ্চিত্ত না করায় হত্যা করা হয়।
রাফায়েল বালয়েস জানান, গির্জায় অভিযানে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজনকে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই গির্জায় বিদ্রোহীদের বেঁধে রেখে অত্যাচার করা হতো। বাইবেল দিয়েও শরীরে আঘাত করা হতো। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ওই গির্জায় কয়েক ধরনের ছুরি, বলি দেওয়া ছাগল এবং একজন বিবস্ত্র নারীকে উদ্ধার করেছেন।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ এবং মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, তাদের এক নেতা তাদের সবাইকে বলেন যে, ‘ঈশ্বর তাকে একটি বার্তা দিয়েছেন। বার্তায় বলা হয়, মানুষদের প্রায়শ্চিত্ত করতে বাধ্য করতে হবে। আর প্রায়শ্চিত্ত না করলে হত্যা করতে হবে।’ এরপর থেকেই প্রায়শ্চিত্ত না করলে নারী-পুরুষ বা শিশুদের হত্যা করছে ওই সম্প্রদায়টি।
ওই অঞ্চলটির নেতা রিকার্ডো মিরান্ডা বলেন, এই সম্প্রদায়টি এক ধরনের শয়তান সম্প্রদায়। তারা গির্জায় উদ্ভূত উপাসনা করে। তাদের উপাসনা খ্রিস্টান বিশ্বাসের পরিপন্থী। খ্রিস্টানদের পবিত্র শাস্ত্র পরিপন্থী উপাসনা করে থাকে তারা। আমরা এই শয়তান সম্প্রদায়কে অবিলম্বে নির্মূল করার দাবি করছি।
সূত্র: টেলিগ্রাফ।