শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
জনি সাহা : প্রাথমিকে এবারের নিয়োগে সারাদেশে থেকে প্রায় ২৪ লাখ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ পরীক্ষা চারধাপে সম্পন্ন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। পরীক্ষার পর অনেকটাই দ্রুত ফলাফল প্রকাশ করে ডিপিই। সেখানে ভাইবার জন্য ডাকা হয় ৫৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে।
প্রথমে ১২ হাজার শিক্ষক নেয়ার কথা থাকলেও সারাদেশে শিক্ষক স্বল্পতা থাকায় ১৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেয় প্রাথমিক অধিদপ্তর।
এবার ৫৫ হাজার থেকে বাদ পড়া শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন প্যানেলের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দেয়ার জন্য। এরকম একটি মন্তব্য শিক্ষকদের ফেসবুক গ্রুপে ভাইরাল হয়েছে।
ভিশন বাংলা ২৪ ডট কম -এর পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
বরাবর,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
(জননেত্রী শেখ হাসিনা)
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮ এর চূড়ান্ত ফলাফলে যারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি (লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ) তাদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য আবেদন।
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, মাদার অফ হিউম্যানিটি খ্যাত মমতাময়ী মা, আসসালামু আলাইকুম। আজ এমন এক সময় আপনার কাছে লিখছি যখন দেশ আপনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। জানিনা আমার এই লেখা আপনার কাছে পৌঁছাবে কিনা। তারপরও আপনাকেই লিখছি কেননা আপনিই বুঝবেন আমরা প্রায় ৩৭ হাজার চাকরি প্রত্যাশী, প্রায় ২৪ লাখ প্রার্থীর সাথে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে ৫৫ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে ভাইবা (মৌখিক পরীক্ষা) দিয়েছি। তার মধ্যে চূড়ান্তভাবে ১৮,১৪৭ জন নিয়োগের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হন।।
চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই চাকরিতে যোগদান করবে না, অনেকেই আরো ভাল চাকরি হয়ে গেছে। কিছু প্রার্থী আছেন যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দিয়েছেন পরীক্ষা। তারাও সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
তাই ৩ থেকে ৪ হাজার প্রার্থী যোগদান করবে না। তাদের পোস্ট খালি হয়ে যাবে। নতুন কিছু পোস্ট ইতিমধ্যে শূন্য হয়ে গেছে। তাই আপনার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে আকুল আবেদন, যারা লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছে তারা নিশ্চয়ই মেধাবী। তাদের একটি মেধা তালিকা করে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে যেন উদ্যোগ গ্রহণ করে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
আপনি ইতোমধ্যে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীর বুকে মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার কোন তুলনা হয় না। মানবিক দিক বিবেচনা করুন আপনি। আপনি চাইলে আমাদের একটি উপায় হবে।
আমাদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ এটাই ছিল শেষ পরীক্ষা, কারণ গত ৪ বছর প্রাথমিকে নিয়োগ বন্ধ ছিল। বর্তমানে চাকরি খুব প্রতিযোগিতাপুর্ণ। আমাদের চাকরি না হওয়াতে আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না। আমরা পরিবার ও সমাজের কাছে বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। মুজিববর্ষের এই সময়ে আপনি আমাদের এই সুযোগটি দান করবেন, আমাদের এই একটি চাওয়া।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার হাত ধরে দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যদি সকল ক্ষেত্রে মেধাবীদের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে আপনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর এই সোনার বাংলাকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করতে সক্ষম হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার উপর ১৬ কোটি মানুষের আস্তা রয়েছে, যতদিন আপনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
অতএব, সমীপে আকুল আবেদন এই ৩৭ হাজার মেধাবী বেকারের কথা চিন্তা করে প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগে প্যানেল এর মাধ্যমে মেধা তালিকা করে নিয়োগ দানে আপনার যেন মর্জি হয়।
নিবেদক, প্রায় ৩৭ হাজার চাকরি প্রত্যাশী পুরুষ ও মহিলা।
( সংগৃহীত )