রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রথম সাতমাসে ৬৩৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। ডলার প্রতি ৮৫ টাকা ধরা হলে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতির প্রায় সবকয়টি সূচক নেতিবাচক হলেও রেমিট্যান্সে নগদ প্রণোদনা দেয়ার ফলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীরা এই টাকা পাঠিয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। সরকারের রেমিট্যান্সে নগদ প্রণোদনাসহ নানা উদ্যোগের ফলে প্রবাসীরা ৬৩৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।
এছাড়াও ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে অর্থ পাঠানোর পরিমাণ বাড়িয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ফলে সব মিলিয়ে ১ হাজার ১০৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ ডলার পেয়েছে। যা মোট আহরণের ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৭০ কোটি ৬ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, সাতমাসে প্রবাসী আয় পাঠানোর রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। তারা ২২৭ কোটি ৫৭ লাখ ডলার।যা মোট আহরিত রেমিট্যান্সের ২০ দশমকি ৬০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে অন্য দেশগুলো হচ্ছে আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, ইতালি ও সিঙ্গাপুর।
অর্থবছরের সাত মাসে রেমিট্যান্স আহরণের দ্বিতয় শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার। তৃতীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। চতুর্থ থাকা কুয়েত থেকে এসেছে ৮৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে পঠিয়েছে ৮৭ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। ওমান থেকে এসেছে ৭১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, কাতার থেকে পাঠিয়েছে ৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ডলার, ইতালি থেকে এসেছে ৪৯ কোটি ৩ লাখ ডলার এবং বাহরাইন থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। যা অর্থবছর হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। তারও আগে গত চার বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছিল। সে সময় রেমিটেন্স আসে এক হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।
এর পর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আসে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরের রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।