মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাকালীন সময়ে ৯৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবার বাইরে রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে ১ কোটি লোক আবেদন করলেও সরকারি তথ্য অনুযায়ী এপর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লক্ষ ৪২ হাজার। অর্থাৎ ৯৬% মানুষ চিকিৎসা সেবার বাইরে রয়ে গেছে। যারা চিকিৎসা পাচ্ছেন মূলত তারা ক্ষমতাশালী ও সরকারি প্রভাবশালী মানুষ। সিংহভাগ মানুষ কোনো সেবাই পাচ্ছে না। এই হলো বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার হাল-হকিকত।
বৃহস্পতিবার ( ১১ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্স তিনি এসব অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, বিগত ১২ বছরে লাখ কোটি টাকার উপর যে বাজেট পেশ হয়েছে সেই টাকা গেল কোথায়? বাংলাদেশে ৩০% হাসপাতালে অক্সিজেনের কোনো ব্যবস্থা নেই, ভেন্টিলেটর তো দূর আকাশের তারা। আইসিইউ বেড এখন সোনার হরিণের মতো। দেশের সাধারণ মানুষ সবসময় চিকিৎসা বঞ্চিত থেকেছে। এখন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মহামারীর তাণ্ডবে এদেশের করোনা আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসার অভাবে এক বিভীষিকাময় মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে যতই শক্তিশালী হোক, যতই অর্থশালী, অস্ত্রশালী হোক, কোনো শক্তিই কাজে আসছে না। করোনাভাইরাসই যেন সবচেয়ে শক্তিশালী’। এর আগে আপনার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী হুংকার দিয়ে বলেছিলেন-আওয়ামী লীগ নাকি করোনার চেয়েও শক্তিশালী। সেই শক্তি গেল কোথায়? যে মন্ত্রী উক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন তিনি এখন ঘরের মধ্যে লুকিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের এই শক্তি শুধুমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী মত ও চিন্তার মানুষকে জুলুম-নির্যাতন করতেই ব্যবহার হয়। বিএনপি’র নারী নেত্রীসহ যুব-ছাত্র কাউকেই এই দুর্যোগকালেও গুম-গ্রেফতার ও হয়রানির হাত থেকে রেহাই দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এখন করোনার কাছে আত্মসমর্পণের সুর ধ্বনিত হচ্ছে। অথচ দম্ভোক্তি করে ‘নিজেদেরকে করোনার চেয়েও শক্তিশালী’ ভেবে পুরো লকডাউন না দিয়ে সাধারণ ছুটি ও ক্ষুধার্ত মানুষের জনরোষ থেকে ক্ষমতার ময়ূরের সিংহাসনে যাতে ধাক্কা না লাগে সেজন্য জীবন-জীবিকার প্রশ্ন উস্কে দিয়ে করোনাভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানাতে সবকিছু উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে করোনার কালবৈশাখীর ঝড়ে বাংলাদেশ লণ্ডভণ্ড। হু হু করে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণের সংখ্যা বাড়ছে।