রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমনের অত্যাচার-নির্যাতনে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাংলাদেশের অপরাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ পিরোজপুরের মহারাজ-মিরাজ মাধবপুরে টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৯ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্কাউটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন, সভাপতি-শাকিল ,সম্পাদক- ছাইফুল ! আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করব না: ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন রেজিস্ট্রার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চিলাহাটিতে তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ডোমারে জাতীয় শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ডোমারে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ বছর ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন

মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ বছর ধরে বন্ধ এক্স-রে মেশিন

মোঃ নজরুল ইসলাম খান, মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় কয়েক লক্ষ্য মানুষের সরকারি চিকিৎসার একমাত্র স্থান ‘মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’। এ উপজেলার মানুষের সঠিক চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি এক্স-রে মেশিন দেয়া হলেও এখন এটি কেবল শোভাবর্ধন কিংবা ‘এক্স-রে মেশিন আছে’ কথাতেই সীমাবদ্ধ। ১২ বছর ধরে তালা বদ্ধ কক্ষে পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন।
মেশিন থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা লাগছে না মানুষের কোন কাজে। বরং নিজ খরচে উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই করাতে হয় এক্স-রে। এমনকি দীর্ঘদিন মেশিনটি বন্ধ থাকার কারণে বিকল হওয়ার শংকাও দেখা দিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন জনবল সংকটের কারণে মেশিনটি বন্ধ আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় সরকারি হাসপাতালের স্থাপিত এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে রোগীরা নামমাত্র সরকারি ফি প্রদান করে এক্স-রে করানোর কথা থাকলেও এখন প্রাইভেট ভাবে অতিরিক্ত মূল্যে এক্স-রে করাতে হয়। সরকারি হাসপাতালের মেশিনটি বন্ধ থাকায় উপজেলায় বেঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। বিকল্প কোন পথ না থাকায় অনেকটা অসহায় হয়েই জনসাধারণরা প্রাইভেট ভাবেই করাতে হয় এক্স-রে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ১৯৯৭-৯৮ দিকে ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয়েছিল অ্যানালগ মডেলের এক্স-রে মেশিনটি। স্থাপন করে কিছু দিন চালানো হয়েছিল মেশিনটি। তবে ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বন্ধ।সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকলেও ‘রেডিওগ্রাফার’ পদে মেশিনটি চালানোর মানুষ না থাকায় ১২ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে মেশিনটি। কর্তৃপক্ষ বলছেন মেশিনটি চালানোর জন্য গত ১১ বছর ধরে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একজন রেডিওগ্রাফার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে একজন টেকনিশিয়ান দেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.এইচ.এম ইশতিয়াক মামুন জানান, এক্স-রে মেশিনটি ২০০৮ সাল থেকে তালা বদ্ধ কক্ষে পড়ে আছে। মেশিনটি সচল রাখতে বছরে দুই তিনবার চালু করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রায় বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। মেশিনটি চালানোর জন্য দক্ষ লোক চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও এ পর্যন্ত কোনো লোক পাওয়া যায়নি।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান  বলেন, দীর্ঘদিন থেকে রেডিওগ্রাফার পদে জনবল সংকট রয়েছে। নিয়োগ বন্ধ থাকায় এ পদে মানুষের অভাব। তবে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হবে। নিয়োগ হলেই মাধবপুরের এ সংকট দূর হবে আশা করছি। আমরা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে জনবলের চাহিদা পাঠিয়েছি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com