এখন ব্রাজিলে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬১৭ জন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে কারণ পরীক্ষার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশটিতে প্রায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত হয়, কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যাটি কিছুটা কমে যায়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। তারপর চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ পার হয়।
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই ব্রাজিলে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসায় অর্থনৈতিক পতনের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, পাশাপাশি দেশটির ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর প্রতি জনসমর্থনও হ্রাস পায়।
করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য বোলসোনারো ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে পরপর দুই জন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করার পর থেকে দেশটি এখনও স্থায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী পায়নি।
বোলসোনারো প্রথম থেকেই সামাজিক দূরত্ব বিধির বিরোধিতা করে আসছেন। একে ‘কর্ম হারানোর বিধি’ আখ্যায়িত করে এটি ‘ভাইরাসের চেয়ে বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।