মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ মে) বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (১০ মে) রাতে ঢাকা থেকে বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে আনা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, মামলার বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাতে পিবিআইয়ের একটি সূত্র জানায়, বাবুল আক্তারকে কাল (আজ বুধবার) মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হবে এবং মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তিনি ওই হত্যা মামলার বাদী আবার তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে আদালতকে জানানো হবে।
সূত্রটি আর জানায়, মামলাটি করা হবে পাঁচলাইশ থানায়, কারণ আগের মামলাটিও একই থানায় করা হয়েছে। আজ বুধবারই মামলাটি দায়ের করবেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, তাঁর জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। এরপর দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। ওই সময় বেশ কয়েকজন কথিত জঙ্গি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় মিতু হত্যার তদন্ত নতুন মোড় নেয়।
হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। সেখানে তাঁর এক শ্যালিকার সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের প্রচেষ্টা হয়েছিল-এমন দাবি করে তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে অন্য বাসায় গিয়ে ওঠেন। এর পর থেকে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অভিযোগ করে আসছেন, বাবুল আক্তারই মিতুকে হত্যা করেছেন। কিন্তু বাবুল আক্তার বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। গোয়েন্দা বিভাগ মাত্র দুইবার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেন।