সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-১৪ সহ তিন উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় তিন উপ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে আগাখান মিন্টু, কুমিল্লা-৫ আসনে আবুল হাসেম খান এবং সিলেট-৩ আসনে হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের হয়ে প্রার্থীতা লড়বেন। আজ শনিবার সকাল ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বোর্ডের অন্য সদস্যরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া আগাখান মিন্টু শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সিলেট-৩ এ মনোনয়ন পাওয়া হাবিবুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আর কুমিল্লা-৫ এর আবুল হাসেম খান বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে ২৮ জুলাই। নির্বাচন সামনে রেখে গত ৪ জুন থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু করে আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন গ্রহণ ও জমা দেয়া শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। এই তিন আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের ৯৪ জন নেতা-কর্মী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছিল কুমিল্লা-৫ আসন থেকে, ৩৫ জন। এ ছাড়া ঢাকা-১৪ আসনে ৩৩ ও সিলেট-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিট চেয়েছিলেন ২১ জন। গত ২ জুন নির্বাচন কমিশন এক বৈঠকে ঢাকা, কুমিল্লা ও সিলেটের মোট তিনটি আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ জুন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন বাছাই হবে ১৭ জুন। ১৮, ১৯ ও ২০ জুন আপিলের দিন ঠিক করা হয়েছে। প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিন ২৩ জুন। প্রতীক বরাদ্দের তারিখ ২৪ জুন। বিএনপি আগ্রহ না দেখালেও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে আসনগুলোতে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক ঢাকা-১৪, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সিলেট-৩ এবং জসিম উদ্দিনকে কুমিল্লা-৫ আসনে লাঙ্গল নিয়ে লড়বেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল আসলামুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৪, ১৪ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে কুমিল্লা-৫ আর ১১ মার্চ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের মৃত্যুতে ফাঁকা হয় সিলেট-৫ আসন। শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনে ভোট করতে বাধ্যবাদকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশন।