মঙ্গলবার, ২২ Jul ২০২৫, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে বিল নিয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলার চেষ্টা, কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ১৯, আহত অর্ধশতের বেশি— ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সুমন-সোলাইমান-রনির নেতৃত্বে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের খাদ্যবহরেও হামলা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে: আদিলুর রহমান খান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা মাদকের অভয়ারণ্য লালমনিরহাট
আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চলছে: সাঈদ খোকন

আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চলছে: সাঈদ খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চলছে অভিযোগ করেছেন তিনি। গত রবিবার তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার বিষয়টিকেও এর অংশ হিসেবেই দেখছেন সাবেক মেয়র। তিনি বলেছেন, ‘মেয়র তাপস বিভিন্ন সময় আমাকে জনগণের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য নানা অপ্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিব।’

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমার বাবা, আমার পরিবার সব সময় আওয়ামী লীগের জন্য ও জনগণের জন্য কাজ করে এসেছে। আমার বাবা রাজনীতির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমার মা সব সময় বাবাকে তার রাজনৈতিক কাজে সহযোগিতা করতেন। অথচ আমার পরিবারকে ছাড় দেওয়া হয়নি। আমার আদরের ছোটবোনকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকেও ছাড় দেওয়া হয়নি।’ সাঈদ খোকন বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আমার ও আমার পরিবারের মৌলিক অধিকার। অথচ অন্যায়ভাবে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র তাপসের প্ররোচনায় এটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ফলে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারছি না, কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না। সমস্ত কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে।’ তিনি অবিলম্বে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া দাবি জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে।’ ডিএসসিসির সাবেক মেয়র বলেন, ‘এই শহরের জন্য দীর্ঘদিন আমি ও আমার পরিবার ভূমিকা রেখেছে। আমার পরিবারের একজন সদস্য ঢাকার পঞ্চায়েত সরদার ছিলেন। আমার বাবা ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ আমার আমার বৃদ্ধ মায়ের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। আমার ছোট বোনের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এভাবে তাঁরা লাঞ্ছিত হবেন- এটা ঢাকাবাসী মেনে নেবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমি যদি ইচ্ছা করতাম। এই শহরের একজন বড় ধনী হতে পারতাম। আমার বাবা ইচ্ছে করলে তিনি তা হতে পারতেন। কিন্তু আমরা তা করিনি।’ তিনি ঢাকাবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, আওয়ামী লীগের জন্য, আমার নেত্রীর জন্য দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেছি কী আজ এই অবস্থা দেখবার জন্য? এর আগে গত সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (স্থগিত) নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফ ও মা ফাতেমা হানিফের ব্যাংক হিসাবও স্থগিতের নির্দেশ দেন আদালত।  এর আগে, গত রবিবার সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব, তাঁর স্ত্রী ফারহানা আলমের দুটি, বোন শাহানা হানিফের দুটি এবং তাঁর মা ফাতেমা হানিফের একটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের মোট আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের আদেশ দেন। এর প্রতিবাদে  আজ মঙ্গলবার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাঈদ খোকন।  আবেদনে বলা হয়, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে স্থগিত করা প্রয়োজন। আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন, যা তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি পর্যন্ত ওই অস্থাবর  সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com