রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ সারা দেশে পালিত হয় হরতাল। পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার। ঠিক করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সারাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়।
১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরষ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। অভূতপূর্ব এ গণরায়ে ভীত হয়ে পড়ে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক চক্র। তাই তারা টালবাহানা চালাতে থাকে ক্ষমতা হস্তান্তরে।
একইসঙ্গে চলে শাসন-শোষণ আর দমন-পীড়ন। আর এসব নানা ঘটনার হাত ধরেই আসে একাত্তরের উত্তাল মার্চ। বাঙালি জাতির জীবনে যা অগ্নিঝরা মার্চ হিসাবে পরিচিত। ১৯৭১-এর ৩ মার্চ ঘোষণা করা হয় স্বাধীনতার ইশতেহার।
আজ তেসরা মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঘোষিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। পাঠ করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার। এতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় স্লোগান ঠিক করা হয়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় পার্লামেন্টরি পার্টিগুলোর নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করলে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
বিকেলে পল্টন ময়দানে জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা হয়। ইশতেহারে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাত কোটি মানুষের জন্য স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাম বলা হয় বাংলাদেশ।