সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: উজান থেকে নেমে আসা ঢল, ভারি বর্ষণ এবং ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় হু হু করে বাড়ছে তিস্তার পানি। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত এলাকা। ইতোমধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি করে মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দিয়েছে তিস্তা অববাহিকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার অনেক নিচে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেই পানি ১২ ঘণ্টায় ১০৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা সকাল ৯টায় বৃদ্ধি পায় আরও ১০ সেন্টিমিটার।
হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়া সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চর ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। এছাড়াও তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আসফাউদ দৌলা বলেছেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর রাখছি। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে। যেকোনো সময় তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড ফিউজ বিধ্বস্ত হতে পারে। আমরা তিস্তা অববাহিকায় লাল সংকেত দিয়ে মানুষজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলেছি।
তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেও তিস্তার পানি সামাল দিতে পারছে না সংশ্লিষ্টতা। ফলে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত ফ্লাড ফিউজ হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোনো সময় তা বিধ্বস্ত হতে পারে। এটি ভেঙে গেলে তিস্তা ব্যারাজের সঙ্গে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধার সঙ্গে নীলফামারী জেলার সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।