সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়াতে থাকায় বাংলাদেশেও বড়দিনের উৎসব ঘিরে উদযাপনে লাগাম টানতে বলছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারী ওই নির্দেশনা অমান্য করে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় জমকালো অয়োজনে বড়দিন উদ্যাপন করেছে ঘোড়ারপাড় ক্যাথলিক চার্জের স্বর্গনীতা ধন্যা কুমারী মারিয়া গীর্জা ।
উৎসবের আয়োজন সীমিত করার নির্দেশনা দিয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ওমিক্রন, ফলে এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির সুপারিশে ইতোমধ্যে ১৫ নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় সব ধরনের (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা, পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) লোক সমাগম ধারণক্ষমতার অর্ধেকের মধ্যে রাখা এবং রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম আসনে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
ওই সমস্ত সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে স্বর্গনীতা ধন্যা কুমারী মারিয়া গীর্জায় ৫শত লোকের সমগম ঘটিয়ে ঘোড়ার পাড় ক্যাথলিক চাজে গীর্জায় অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রার্থণা ও ভক্তিমুলক গান, একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় শেষে কেক, মিস্টি, বিশেষ খাবার (সোমরস) এবং দুপুরে আনন্দ উল্লাস করে ৫শত লোককে বিড়ানী খাইয়ে চলে অতিথীদের আপ্যায়ন। ওই অনুষ্ঠানে মানা হয়নি কোন স্বাস্থ্যবিধি। ছিলোনা কারো মুখে মাক্স, নেই কোন সামাজিক দুরাত্বের বালাই।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা অমান্য করে ঘোড়ারপাড় ক্যাথলিক চার্জের স্বর্গনীতা ধন্যা কুমারী মারিয়া গীর্জার বড় দিনের উদ্যাপনের প্রধান ক্যাথলিক চার্জের ফাদার ডেভিড ঘড়ামি জমকালো অয়োজনে বড়দিন উদ্যাপনের কথা স্বীকার করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন,ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত না আসে সেই দিকে খেয়াল রেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
বড় দিন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশেরে বিভিন্ন স্থান থেকে নারীর টানে বাড়ি ফিরেছেন উপজেলার ৫৫টি গীর্জায় প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী পরিবারের সদস্যরা। বড় দিন উদযাপন করতে ৫৫টি গীর্জার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অনুকূলে ২৭ দশমিক মেট্টিক টন সরকারী অনুদানের চাল বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।