লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে উপযুক্ত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাব, পরিবারের উদাসীনতা, অসৎ সঙ্গ, মাদকের সহজলভ্যতা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ, প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রভাবশালী মহল, মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী, সাধারণ মানুষ ও পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সাধারণ সমাজ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মনে করেন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় জনবল, মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন, সন্তানদের প্রতি বাবা-মা ও প্রশাসনের নজরদারি জোরদার, স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে সমাজ মাদক মুক্ত হওয়া সম্ভব।
স্বাধীনতার ৫৪বছরেও উন্নয়নের সামান্যতম ছোঁয়া লাগেনি এ জেলায়। শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্প-কারখানাসহ কোনো কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি এই জেলায়। ফলে জেলার অধিকাংশ যুবক বেকারত্বের অভিশাপের শিকলে আবদ্ধ হয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে দিনের পর দিন যুবকরা মাদকাশক্ত হয়ে পড়েছে। বাড়ছে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানী, খুনসহ সহিংস ঘটনা। দিন-রাত সমানতালে বসে মাদকের আসর। অনেক বখাটে যুবক, মদ, গাঁজা, সেবন করে মাতাল হয়ে বাসায় ফিরে। আবার অনেকে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় উঠতি বয়সী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে।
লালমনিরহাটের ছোট-বড় বিভিন্ন স্পটে প্রতিদিন বসে মদ, গাঁজার আসর। মদ, গাঁজা সেবন করে আজীবনের জন্যে ভারসাম্য হারিয়েছে একাধিক যুবক। প্রতিদিন মদ, গাঁজা সেবন করতে না পারলে পরিবারে টাকা-পয়সার জন্যে মা-বাবার ওপর নির্যাতন চালায়।
লালমনিরহাটের মাদক ব্যবসায়ীরা সব সময় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন রাত-দিন অভিযান চালিয়ে কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী গ্রেফতার করলেও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে আসছে অপরাধীরা। লালমনিরহাটের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন থেকে ব্যবসা করে আসছে। প্রশাসন তাদেরকে একাধিকবার গ্রেফতার করলেও ২/৩ মাস হাজত বাসের পর আবার বের হয়ে আসে। যথাযথ আইন না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিয়মিতই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।