শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
জনি সাহা: লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা রামগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী কালাচাঁদ ডাক্তার বাড়ীতে শ্রী শ্রী গনেশ পূজা অনুষ্ঠিত চতুর্থী ইতিহাস এবং জানুন গণেশ চতুর্থী কেন পালন করা হয়? গণেশ চতুর্থী তাৎপর্য কি? ভারতীয়দের জন্য গণেশ চতুর্থী গুরুত্ব কতটা? জানুন গণেশ হলেন সিদ্ধিদাতা, গণেশ চতুর্থী অথবা গণেশ উৎসব হলো হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা উৎসব। শিব এবং পার্বতীর পুত্র গজানন অর্থাৎ গনেশ হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা হিসেবে পরিচিত। গণেশ চতুর্থী ইতিহাস হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, এই দিন গণেশ তার ভক্তদের মনের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। এছাড়া সংস্কৃত, তেলেগু, তামিল, ভাষাতে এই উৎসবকে বিনায়ক চতুর্থী অথবা বিনায়ক চবিথি নামেও অনেকেই জানবেন। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব রূপে পালিত হয়ে আসছে এই উৎসব, হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত এই দিনটি আগস্টের ২০ তারিখ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পড়ে থাকে, আর দশ দিন ধরে এই উৎসব চলে খুবই সমারোহে। গনেশ পূজা ভারতের কোন কোন জায়গায় পালিত হয়ে থাকে? গণেশ পূজা ভারতের সর্বত্রই অনুষ্ঠিত হলেও, এই উৎসবটি বিশেষ করে কর্ণাটক, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র অথবা মুম্বাই, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও ছত্রিশগড় রাজ্যে খুবই ধুমধাম করে পালন করা হয়। তাছাড়া শ্রীলঙ্কা তে তামিল হিন্দুরাও এই গণেশ উৎসব ধুমধাম ভাবে পালন করে থাকেন। কথিত আছে যে, সমস্ত শুভ কাজের শুরু হয় শ্রী গনেশের নাম নিয়ে। আর তাই সমস্ত কাজের সফলতাও আসে। গণেশ পূজা বাদ দিয়ে কোন পূজাই সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। দেবতাদের মধ্যে তাকেই প্রথম পুজ্য বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া গণেশের প্রায় ১০৮ টি নাম আছে, এর মধ্যে গজানন, গণপতি, বিনায়ক এবং বিঘ্নরাজ, এই নামগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার পাশাপাশি গণেশ হলেন সমৃদ্ধির প্রতীক, তাই তার আরেক নাম হলো সিদ্ধিদাতা গণেশ। গণেশ চতুর্থীর ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাক: পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, দেবী পার্বতী গণেশের সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাকে পার্বতীর দরজা পাহারা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। শিব ফিরে এসে পার্বতীর ঘরে ঢুকতে গেলে গণেশ তাকে বাধা প্রদান করেন।