বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
প্রযুক্তি ডেস্ক: কর্মস্থল থেকে ছাঁটাই হওয়ার অভিজ্ঞতা যে কারও জন্য বেদনাদায়ক। আর যখন সেই ছাঁটাই হয় একেবারেই হঠাৎ করে, তখন তা মেনে নেওয়া আরও বেশি কঠিন হয়ে ওঠে। যদিও কর্মী ছাঁটাইয়ের ভালো কোনো উপায় আদোতে নেই, তবে কিছু পদক্ষেপ ছাঁটাইয়ের সঙ্গে জড়িত অনিশ্চয়তাগুলোকে কিছুটা হলেও কমাতে পারে। এমনটিই হয়েছে মার্কিন টেকনোলোজি জায়ান্ট গুগলে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
সম্প্রতি টুইটার, ফেসবুক, মাইক্রোসফটের পর কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে গুগল। একসঙ্গে প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে সংস্থাটি। তবে অন্যান্য সংস্থাগুলোর মতো করে নয়, এক অভিনব কায়দায় গুগল নিউইয়র্কের কর্মীরা জেনেছেন তাদের চাকরি আছে নাকি নেই।
এক লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীর পোস্ট অনুসারে, নিউইয়র্কে কর্মরত গুগল কর্মীরা তাদের চাকরি আছে নাকি চলে গেছে, তা জানতে এক কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। গুগলের এই পরীক্ষাকে অনেকেই তুলনা করেছেন নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্কুইড গেম’-এর সঙ্গে।
লিঙ্কডইনে পোস্টদাতা গুগলের সাবেক ওই কর্মী জানান, চাকরি আছে কিনা, তা বোঝার উপায় ছিল অফিসে ঢোকার ‘অ্যাক্সেস পাস’ পাঞ্চ করা। সেটি নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল। পাস পাঞ্চ করলে যদি সবুজ হয়, তাহলে চাকরি আছে; আর লাল হয়ে গেলে চাকরি নেই।
পোস্টটিতে তিনি লিখেছেন, “স্কুইড গেম নয়, এটিই বাস্তব। শুক্রবার সকালে নিউইয়র্ক অফিসে আসা গুগলের কর্মীরা তাদের পাস পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। পাঞ্চ করার পর যদি এটি সবুজ হয়, তাহলে আপনাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে; আর যদি লাল হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনাকে ছাঁটাই করা হয়েছে।”
আগে থেকে কোনো নোটিশ না পাঠিয়েই অফিসের মেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে কর্মীরা নিজেদের চাকরির অবস্থা সম্পর্কে জানতেন না। এমনটিই উল্লেখ করেন ওই পোস্টদাতা।
এর আগে, এক বার্তায় নিউইয়র্ক অফিসের সমস্ত কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। ঘোষণা দিয়েছিলেন, ছাঁটাইয়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ দায়িত্ব’ নেবে সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রে ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা নোটিশ পর্ব চলাকালীন সম্পূর্ণ বেতন, ছাঁটাই সংক্রান্ত বিশেষ প্যাকেজ এবং তাদের নিজ নিজ চুক্তি অনুযায়ী বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের সেসব দেশের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন সিইও।