রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন শিক্ষক বুদ্ধিভিত্তিক এবং আদর্শ সভ্যতার পিতা হিসাবে স্বীকৃত। শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পিতৃতুল্য পুজোনীয় ব্যক্তিত্ব কিন্তু মিরপুর বাঙলা স্কুল এন্ড কলেজ এর সিনিয়র শিক্ষক সাকির আহমেদ শিক্ষকতা নামক মহান পেশাকে কলঙ্গিত করা সহ অনৈতিকতা চরম শিখরে পদার্পণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
যার তথ্য ভিত্তিক নমুনা ক্ষতিগ্রস্থ ছাত্রদের কর্তৃক উক্ত স্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা পর্শদ এর সভাপতি বরাবর দাখিলকৃত আবেদনই সুষ্পষ্ট প্রমান হিসাবে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে শিক্ষক সাকির তথাকথিত শিক্ষকে পরিনত হয়েছে। ক্লাসে অশালীন কথাবার্তা বলেন। তাদের তার বাসায় প্রাইভেট পড়ার জন্য চাপাচাপি করেন। তিনি মাদকদ্রব্য সেবন করার জন্য ছাত্রদের উৎসাহিত করেন। ছাত্রদের ও গার্ডিয়ানদের অশালীন কথাবার্তা বলেন। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ও তার বাসায় প্রাইভেট পড়ানো ছাত্রদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেন। প্রায়ই ক্লাসে দেরি করে আসেন। তিনি বলেন, তোরা গার্লস স্কুলে ঢুকবি। কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে গার্ডকে আমার কথা বলবি সে কিছুই বলবে না। তার ক্লাসের ছাত্রদের মধ্যে ঝগড়া হলে তিনি নিজে বিচার না করে ছাত্রদের দিয়ে বিচার করান। তাদের বাবা-মাদের কটুক্তি করে কথা বলেন। তিনি এক ছাত্রকে দিয়ে অন্য ছাত্রের নিতম্বে আঘাত করান। কারণে-অকারণে ছাত্রদের ক্লাস থেকে বের করে দেন।
তিনি তার স্ত্রীর কাছে তার বাসায় গণিত প্রাইভেট পড়ার জন্য জোড় করেন। তার নিকট প্রাইভেট পড়া ছাত্রদের বিশেষ সুবিধার দেন। যেমন ছুটি দেওয়া, জরিমানা না নেওয়া ইত্যাদি। তার নিকট প্রাইভেট না পড়া ছাত্রদের বিনা কারণে নাম কেটে দেন। তিনি সিলেবাসের চ্যাপ্টারগুলো না পড়িয়ে অন্য কিছু পড়ান। অধ্যক্ষ স্যারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য চাপ দেন এবং হুমকি দেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন না করলে ছাত্রদের হুমকি দেন। ছাত্রদের সাথে বসে ধূমপান ও মদ্যপান করেন।
চলমান পরিস্থিতিতে অযৌক্তিক আন্দোলন না করলে তার সাথে ধূমপান ও মদ্যপান করা কতিপয় ছাত্রের মাধ্যমে এবং সরাসরি তিনি ছাত্রত্ব শেষ করে দেওয়ার অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে। বিষয়টি ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকদের চরমভিত সন্ত্রসত আশঙ্কাগ্রস্থ করে চলেছে। বিষয় সংশ্লিষ্টে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা বাহিনী ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের তদারকি বিভাগ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে ব্যর্থ হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে চরম নৈরাজ্যকর পিরিস্থিতি দেখা দিতে বাধ্য। চলবে…….