বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১২ বছরের অনন্য অর্জন উদযাপন করল জেনিথ ইসলামী লাইফ প্রথাগত অভিজ্ঞতা বদলে দেশে ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স সেবা দুর্গাপুরে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা  লালমনিরহাটে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার, ট্রাক উদ্ধার লালমনিরহাটে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত মিথ্যা মামলা ও বাড়ি দখলের প্রতিবাদে নির্যাতিত মায়ের সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে চারঘাটে মানববন্ধন লালমনিরহাট সীমান্তে ১৫ বিজিবি’র অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা জব্দ একুশে পদকপ্রাপ্ত পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই শ্রীবরদীতে ইউপি সদস্য লাভলুর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
দুর্গাপুরে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা 

দুর্গাপুরে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা 

রাজশাহী প্রতিনিধি :
আষাঢ়ের পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে রোপা আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কৃষক-কৃষানীরা।
রাজশাহীর ৯টি উপজেলাতেই চলছে রোপা আমন রোপণ কাজ। এবার আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিনা সেচে আমন রোপণ করতে পেরে খুশি চাষীরা।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন বিল ঘুরে সরেজমিনে এ সব চিত্র দেখা যায়। এ অঞ্চলে আমন ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করা এবং চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলছে। শ্রমিক ও সার সংকট থাকলেও কৃষকরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে সেচ বাবদ খরচ না থাকায়, স্বস্তি পেয়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক শুকনো জমি চাষ করে রেখেছেন আগে থেকেই এবং বৃষ্টির পর পরই চারা রোপণ শুরু করেছেন।
এই উপজেলার কোনো কোনো বিলে ধান চাষীর সব জমিতে আমন রোপণ শেষ হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো বিলে কৃষকের জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে আছে হাঁটু পানি যে কারণে সঠিক সময়ে ধান রোপণ করতে না পারায় কৃষকেরা পড়েছে লোকসানে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার রাজশাহী জেলায় ৮৪ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৬২০ হেক্টর, জমিতে আমন রোপণ করা হবে।
ইতোমধ্যেই ৩০ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করা হয়েছে। এবার প্রায় ৩০ জাতের রোপা আমন রোপণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-৭৫, ব্রি-৫১, ব্রি-৮৭, স্বর্ণা উল্লেখযোগ্য।
উপজেলার নওপাড়া ইউপির ক্ষৃদ্র কাশিপুর মোরা বিল এলাকার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রতি বছরই বৃষ্টির অভাবে ধান লাগাতে কষ্ট পেতে হয়। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচ দিয়েই জমি চাষ করে ধান লাগাতে হয়। এজন্য খরচও বেশি হয়।
কিন্তু এবার আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেচ বাবদ কোনো খরচ হয়নি। বরং চারা তৈরি হওয়ার আগেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কৃষকরা ধান লাগানো শুরু করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, এখন পুরোদমে ধান লাগানোর কাজ চলছে। কিছুটা কৃষি-শ্রমিক ও সার সংকট রয়েছে। কিন্ত এবার আমরা স্বস্তিতে আছি।
শুধু এই কৃষকই নয় আরো কৃষকের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।  একই উপজেলার দেবিপুর পৌর এলাকার কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, আমরা খুব খুশিতে আছি। কারণ এবার সেচ বাবদ অতিরিক্ত খরচ লাগেনি। আগাম ধান রোপণ করা শুরু হয়েছে। আশা করি এ কারণে ফলন ভালো হবে। অন্য বছরগুলোতে খুব ঝামেলায় পড়তে হতো। এবার সেটি হয়নি।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শারমিন সুলতানা বলেন, এবার রাজশাহী জেলায় ৮৪ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ জমিতে রোপা আমন রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আষাঢ়ের বৃষ্টিতে এবার কৃষকরা রোপণ আমন রোপণ করতে পারায় সেচ খরচ লাগেনি। আশা করছি, এবার আমন চাষে লাভবান হবেন কৃষকরা।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, এবছর উপজেলায় আমন রোপনের জন্য প্রায় ১১শ কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।
এবারে প্রচুর বৃষ্টিপাত অনেক চাষিরা এতিমধ্যে আমন ধান রোপণ করেছেন। আবার অনেক ফসলের মাঠ পানিতে ডুবেও গেছে। তবে পুরো আগস্ট মাস জুড়ে আমন ধান রোপণ চলবে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কোনো ম্যাসেস পাইনি। তবে এধরনের সমস্যা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com