বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াগাতীতে পুজামণ্ডপ পরিদর্শন ও উন্নয়ন অঙ্গীকার: শান্তি ও ঐক্যের বার্তা গ্রাহকের টাকায় বেহিসাবি ব্যয় ৮৩৩ কোটি টাকা :৪৩ বিমা কোম্পানি তারেক রহমানের শুভেচ্ছা ও অনুদান পৌঁছে দিলেন বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার অমি কুড়িগ্রাম রাজারহাটে দূর্গোৎসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আলহাজ্ব সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ-এর শুভেচ্ছা বিনিময় বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দুর্বল বীমা কোম্পানি পুনর্গঠনে তহবিল দিন কাজ করছে পুলিশ সদস্যদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সরকার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শশুড় কর্তৃক ছেলের বউ ধর্ষণ চেষ্টা দৃঢ় অনুবর্তিতা অবৈধ অর্থপ্রবাহের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামে এক বছরে গ্রাম আদালতে ২৩৩৫ মামলা নিষ্পত্তি

দুর্গাপুরে আষাঢ়ে বৃষ্টিতে রোপা আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক কৃষানীরা 

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
  • ৯৬
রাজশাহী প্রতিনিধি :
আষাঢ়ের পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে রোপা আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কৃষক-কৃষানীরা।
রাজশাহীর ৯টি উপজেলাতেই চলছে রোপা আমন রোপণ কাজ। এবার আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে বিনা সেচে আমন রোপণ করতে পেরে খুশি চাষীরা।
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন বিল ঘুরে সরেজমিনে এ সব চিত্র দেখা যায়। এ অঞ্চলে আমন ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করা এবং চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলছে। শ্রমিক ও সার সংকট থাকলেও কৃষকরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে সেচ বাবদ খরচ না থাকায়, স্বস্তি পেয়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক শুকনো জমি চাষ করে রেখেছেন আগে থেকেই এবং বৃষ্টির পর পরই চারা রোপণ শুরু করেছেন।
এই উপজেলার কোনো কোনো বিলে ধান চাষীর সব জমিতে আমন রোপণ শেষ হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো বিলে কৃষকের জমিতে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে আছে হাঁটু পানি যে কারণে সঠিক সময়ে ধান রোপণ করতে না পারায় কৃষকেরা পড়েছে লোকসানে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার রাজশাহী জেলায় ৮৪ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৬২০ হেক্টর, জমিতে আমন রোপণ করা হবে।
ইতোমধ্যেই ৩০ শতাংশ জমিতে আমন রোপণ করা হয়েছে। এবার প্রায় ৩০ জাতের রোপা আমন রোপণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রি-৭৫, ব্রি-৫১, ব্রি-৮৭, স্বর্ণা উল্লেখযোগ্য।
উপজেলার নওপাড়া ইউপির ক্ষৃদ্র কাশিপুর মোরা বিল এলাকার কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রতি বছরই বৃষ্টির অভাবে ধান লাগাতে কষ্ট পেতে হয়। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সেচ দিয়েই জমি চাষ করে ধান লাগাতে হয়। এজন্য খরচও বেশি হয়।
কিন্তু এবার আষাঢ় মাসের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেচ বাবদ কোনো খরচ হয়নি। বরং চারা তৈরি হওয়ার আগেই বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কৃষকরা ধান লাগানো শুরু করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, এখন পুরোদমে ধান লাগানোর কাজ চলছে। কিছুটা কৃষি-শ্রমিক ও সার সংকট রয়েছে। কিন্ত এবার আমরা স্বস্তিতে আছি।
শুধু এই কৃষকই নয় আরো কৃষকের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।  একই উপজেলার দেবিপুর পৌর এলাকার কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন, আমরা খুব খুশিতে আছি। কারণ এবার সেচ বাবদ অতিরিক্ত খরচ লাগেনি। আগাম ধান রোপণ করা শুরু হয়েছে। আশা করি এ কারণে ফলন ভালো হবে। অন্য বছরগুলোতে খুব ঝামেলায় পড়তে হতো। এবার সেটি হয়নি।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শারমিন সুলতানা বলেন, এবার রাজশাহী জেলায় ৮৪ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশ জমিতে রোপা আমন রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আষাঢ়ের বৃষ্টিতে এবার কৃষকরা রোপণ আমন রোপণ করতে পারায় সেচ খরচ লাগেনি। আশা করছি, এবার আমন চাষে লাভবান হবেন কৃষকরা।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী বলেন, এবছর উপজেলায় আমন রোপনের জন্য প্রায় ১১শ কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।
এবারে প্রচুর বৃষ্টিপাত অনেক চাষিরা এতিমধ্যে আমন ধান রোপণ করেছেন। আবার অনেক ফসলের মাঠ পানিতে ডুবেও গেছে। তবে পুরো আগস্ট মাস জুড়ে আমন ধান রোপণ চলবে। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত কোনো ম্যাসেস পাইনি। তবে এধরনের সমস্যা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com