বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ আরিফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) ডিগ্রিধারী ডাক্তারকে দিয়ে কুমারখালীতে ২০ টাকায় চক্ষু চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘাসখাল জিডি সামছুদ্দিন আহাম্মেদ কলেজিয়েট স্কুলের শ্রেনী কক্ষে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন জানিয়েছেন অনুমতি ব্যতিরেকে মেডিকেল ক্যাম্প আইনসিদ্ধ নয়। ডিএমএফ ডাক্তার দ্বারা চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গে চিকিৎসা বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে জিডি সামছুদ্দিন আহাম্মেদ কলেজিয়েট স্কুলে ২০ টাকা ভিজিটে চোখের চিকিৎসা প্রদান করেন কুষ্টিয়া ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের ডিএমএফ ডাক্তার মোবারক হোসেন। রোগী দেখার সময় চোখের ছানি অপারেশন সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ভর্তির জন্য অগ্রীম টাকা নেওয়া হয়।
সরেজমিনে গেলে ডিএমএফ ডাক্তার মোবারক হোসেন জানান, তিনি শুধুমাত্র চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন, যেটা তিনি করতেই পারেন। ভর্তি প্রক্রিয়ায় কাউকে বাধ্য করা হয়নি, যারা স্বেচ্ছায় আসছেন কেবল তারাই ভর্তি হচ্ছেন। মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে রোগী ভর্তির নিয়ম আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি।
কুষ্টিয়া ইসলামী চক্ষু মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক সামিউল ইসলাম রনি জানান, ডিএমএফ ডাক্তার শুধু প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার যোগ্য। তবে তার প্রতিষ্ঠানের ডিএমএফ ডাক্তার সেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু রোগী ভর্তির বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
এদিকে সচেতন মহল বলছেন, চক্ষু চিকিৎসা একটি বিশেষায়িত শাখা, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া অন্য কারও রোগী দেখা আইনসিদ্ধ নয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, অনুমতি ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করতে পারবে না। ডিএমএফ ডাক্তাররা চোখের জন্য কোনো ওষুধ প্রয়োগের এখতিয়ার নেই। এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।