কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাদক সরবরাহকারীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। শনিবার মাদকসরবরাহকারী রাফিকে উদ্ধার করেন কুমারখালী থানা পুলিশ। এবং উদ্ধারকৃত রাফি বাদী হয়ে নয় জনের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় রাজু নামের মুদি দোকানি ও মাদক ব্যবসায়ী রাব্বিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছেন থানা পুলিশ।
জানা যায়, খুলনার সালমান আবুজার রাফিকে কুমারখালীতে পাঠান মাদককারবারীদের কাছে। রাফি কুমারখালী পৌঁছানোর পর মাদককারবারীরা তাকে ৪ দিন আটকে রাখে এবং তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। গত শুক্রবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী রাব্বি রাফিকে নিয়ে সদকী পৌঁছালে রাফি দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয়দের জানায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা রাব্বি সহ তাদের দুজনকেই সদকী দাখিল মাদ্রাসায় আটকে রাখেন। এবং শনিবার সকালে কুমারখালী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন।
ভুক্তভোগী রাফি জানান, সালমান তাকে কুমারখালীতে পাঠানোর পর লাবু, হাবিব ও মুন নামের তিনজন তাকে আটকে রেখে চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে রাব্বি তাকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় সে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয়দের জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে পরেরদিন থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, মামলার বাদী রাফি খুলনা থেকে কুমারখালীতে বেড়াতে আসে। পরবর্তীতে আসামীরা তাকে আটকে রেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এবং উদ্ধার ব্যক্তি বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।