রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্কঃ শেষ ওভারের রোমাঞ্চে রানের পাহাড় টপকে অসাধারণ জয় তুলে নিলো রংপুর রাইডার্স। সাব্বির রহমানের ব্যাটিং নৈপুণ্য ম্লান হয়ে গেল রুশোর অর্ধশতকে। সেই সাথে বিপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল রংপুর।এর আগে বিপিএলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড সিলেটের। ২০১৩ সালে রংপুরের বিপক্ষে ১৯৮ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তখন অবশ্য সিলেট রয়্যালস নামে খেলত তারা। সেই শোধ এবার নিল রংপুর রাইডার্স। সিলেটের দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যে পৌছে গেল ৪ উইকেট হাতে রেখে।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস গেইল হতাশ করেন। শূন্য হাতে তাকে ফেরান মোহাম্মদ ইরফান। এরপর রাইলি রুশোকে সঙ্গে নিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তুলেন অ্যালেক্স হেলস। দলীয় ৬৩ রানের সময় অলক কাপালির শিকার হন ৩৩ রান করা হেলস। তবে দারুণ ফর্মে থাকা রুশোর ব্যাট এদিনও ছিলো উজ্জ্বল। বিপিএলে অভিষিক্ত ডি ভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে দলকে স্বপ্ন দেখাতে থাকেন তিনি। তবে ১৪তম ওভারে রংপুরকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তাসকিন আহমেদ। তিনটি লাইফ পাওয়া রুশো এবারের আসরে চতুর্থ অর্ধশতক হাঁকিয়ে ফেরেন ৬১ রানে। ওভারের শেষ বলে ডি ভিলিয়ার্সের স্ট্যাম্প ভাঙার পাশাপাশি রংপুরের জয়ের স্বপ্নেও চিড় ধরান তিনি।এরপর নিজের কোটার শেষ ওভারে এসে ভয় ধরানো মোহাম্মদ মিঠুন এবং নাহিদুল ইসলামকে ফেরান তাসকিন। শেষ ২ ওভারে রংপুরের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৪ রান। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান ফরহাদ রেজা।এর আগে সাব্বির রহমানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে রংপুর রাইডার্সের সামনে ১৯৫ রানের লড়াকু টার্গেট দাঁড় করায় সিলেট সিক্সার্স।সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন সাব্বির রহমান। লিটন দাস খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ৮ বলে ১১ রানে তিনি মাশরাফির শিকারে পরিণত হন। এরপর আফিফ হোসেন এবং ডেভিড ওয়ার্নার দু’জনই ১৯ রান করে ফেরেন। তবে সাব্বির রহমান একদিকে যেমন ছিলেন হিসেবি একই সঙ্গে ছিলেন বিস্ফোরকও। উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি রানের চাকাও সচল রাখেন। শেষ দিকে ঝড় তুলেন নিকোলাস পুরান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। জাকির আলি অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে সিলেট সিক্সার্স। মাশরাফি নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট এবং শফিউল ইসলাম নেন ১ উইকেট।