শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেতা তমাল মাহবুব। চরিত্রের ভিতরে এমনভাবে প্রবেশ করেন যে, পাঠক ভুলেই যায় যে এটা তার অভিনয়। অভিনয়কে ধারণ করতে হয়তো এমনই হওয়া উচিৎ। ১৯৭৮ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার বড়ুরা থানার পয়েলগাছা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ সময়ের অভিনেতা তমাল মাহবুব। মিডিয়াতে শুরুটা হয় ২০০৭ সালে নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর ধারাবাহিক ৪২০ নাটক দিয়ে। তখন থেকেই একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন এই অভিনেতা। মিডিয়াতে ১০ বছর পেরিয়ে ১১ বছরে পা দিলেন তমাল মাহবুব। তিনি অভিনয়কে ভালবাসেন, অভিনয়কে ঘিরেই তার সকল ধ্যান জ্ঞান।
সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তমাল মাহবুব এর একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছে ‘ভিশন বাংলা’র বিনোদন ডেক্স-এর কাজী বাহাদুর হীমু।
বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন ?
বর্তমানে ব্যস্ত আছি, যেহেতু আমি নাটকের মানুষ, ব্যস্ততা নাটক নিয়েই। বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। চাপাবাজ, কমেডি ৪২০, এ্যাকশন গোয়েন্দা, নয় ছয় এরকম বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। পাশাপাশি এক ঘন্টার নাটক,টেলিফিল্ম ও মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন এর কাজও করছি। তবে বেশির ভাগ নাটক নিয়েই ব্যস্ততা যেহেতু নাটকের মানুষ।
কাদের সাথে কাজ করতে বেশী ভাল লাগে ?
আমার ভাল লাগে, ভালো অভিনেতা বা ভালো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে। সেটা সিনিয়ার হতে পারে বা জুনিয়ার ও হতে পারে। দেখা যাচ্ছে একেবারে নতুন একটা ছেলে অথবা মেয়ে ভালো অভিনয় করছে- তার সাথে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। ভালো কিছুর সাথে থাকতে আমার ভালো লাগে। আমার কথা হলো-ভালো অভিনয় যারা করে তাদের সাথে কাজ করতে আমার ভালো লাগে।
একজন অভিনেতা হিসাবে ইউটিউব কে আপনি কীভাবে নিবেন ?
ইউটিউব টা আমার কাছে মনে হয় যে এটা এক ধরনের প্লাটফর্ম তৈরী করছে। সবাই যে চ্যানেলে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে তা কিন্তু নয়। চ্যানেলে কাজ করার সুযোগ যদি কেউ না পায়,সেক্ষেত্রে একটা বিকল্প ব্যবস্থা তো থাকতে হবে। একটা মানুষ তার মেধা কোথায় দেখাবে?দেখানোর তো একটা না একটা জায়গা থাকতে হবে। এই জায়গা থেকে চিন্তা করলে আমার কাছে ইউটিউব টা ভালো। কেউ কাজ করছে,সে তার কাজটা মানুষকে দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। সে জায়গা থেকে ইউটিউব ভালো। আবার নেগেটিভ কিছু দিকও রয়েছে। যেমন- কাজ পারুক বা না পারুক একটা ক্যামেরা নিয়ে বের হয়ে যা ইচ্ছা তা বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়ছে। ফলে কিছু নেগেটিভ দর্শক ও তৈরী হয়েছে।
আমি মনে করি যে শুধু একটা ক্যামেরা থাকলেই হবে না, ভালো অভিনেতা ও ভালো অভিনেত্রী নিয়ে ,কাজ শিখে কাজ বুঝে,ভালো কাজ করে যেন ইউটিউবে দেয়। কারন ইউটিউব টা কিন্তু শুধু বাংলাদেশের মানুষ দেখছে না। এটা সারা পৃথিবীর মানুষ দেখছে। ইউটিউব একটা আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম। এখানে শুধু নিজের কথা ভাবলে হবে না। দেশের কথাও ভেবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড দেওয়া উচিৎ।
বর্তমানে মিডিয়াতে যারা নতুন নতুন কাজ করছে তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন ?
আমি তাদের সম্পর্কে যা বলতে চাই- কাজ করতে আসার আগে একটু জেনে-বুঝে, শিখে যেন কাজ করতে আসে। তাতে ৬ মাস বা ১ বছর সময় একটু বেশী লাগুক, আমার মনে হয় সেটা ভালো হয়। কারন না জেনে, না বুঝে আসলে হয় কি-কাজটা তখন ভালো হয় না। আর কাজ ভালো না হলে সবাই বলবে,আরে এ ছেলেটা বা এ মেয়েটা কাজ পারে না। তখন ক্ষতিটা কিন্তু তারই। আর সে যদি কাজ শিখে আসে সবাই তখন বলবে সে কাজ পারে। তখন লাভ তারই হবে। তাই নিজের লাভের জন্য তাড়াহুড়া না করে আজ শিখে আসা উচিৎ। অনেক জুনিয়াররা আছে যারা ভালো কাজ করে। তাই আমার মতে সিনিয়ারদের উচিৎ বা দায়িত্ব জুনিয়ার যারা ভালো কাজ করে তাদের সুযোগ করে দেওয়া।
আপনার পছন্দের মানুষ কে ?
আমার পছন্দের মানুষ বাবা-মা। কারন- জীবনে যতটুকু উৎসাহ পেয়েছি সবটাই বাবা মা এর কাছ থেকে। বিশেষ করে আমার এই কাজ করার পিছনে আমার বাবার উৎসাহটাই ছিল সবচেয়ে বেশী। এখনও তিনি আমাকে উৎসাহ দেন। তাই আমার বাবাই আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাকে অনুসরন করেন ?
আমি অনুসরন করি বলতে নির্দিষ্ট একজনের কথা বললে তো হবে না। ভালো অভিনয় অনেকেই করে। আমি এক একজনের কাছ থেকে এক একটা নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি অনেককেই অনুসরন করি। তবে হ্যা,প্রিয় অভিনেতা একজন আছেন। তিনি আমাদের মাঝে নেই। তিনি হলেন হুমায়ন ফরিদি। ছোট বেলা থেকেই আমি তার ভক্ত।
পছন্দের দুজন অভিনেত্রীর নাম বলুন ?
পছন্দের অভিনেত্রী বলতে তো সিনিয়ার আছেন বর্তমান সময়ের ও আছেন। তবে এখনকার সময়ের তিশা এবং মমো এই দুজনের অভিনয় আমার বেশী ভাল লাগে।
ছুটির দিন পরিবারের সাথে কীভাবে কাটান ?
ছুটির দিন বলতে কখনো হয়তো বাসায় ঘুমাই। কখনো হয়তো পরিবারের সবাই মিলে টিভি দেখি। কখনো হয়তো আবার পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাই। আসলে ঠিক নেই,যখন যেটা মন চায় সেভাবেই ছুটরি দিন কাটাই।