মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯-এ দাঁড়িয়েছে। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৮ জন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে কমপক্ষে চারজন বন্দুকধারী ওই হামলা চালায়।
ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ওই হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার ১৭ মিনিটের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট হামলার প্রস্তুতি থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত দেখিয়েছেন। নৃশংসতা থাকায় ভিডিওটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেও এখনও অনেক ওয়েবসাইটে রয়ে গেছে সেটি।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ব্রেন্টন গাড়ি চালিয়ে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের সামনে এসে নামেন। পরবর্তীতে নিজের গাড়ি থেকেই বন্দুক বের করে তা লোড করে মসজিদের ভেতর ঢুকে পড়েন। এরপর একের পর এক গুলি চালিয়ে হত্যা করেন মুসল্লিদের। মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিক গুলি করতেও দেখা গেছে তাকে।
ক্রাইস্টচার্চের হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে ফিরেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তামিম, মুশফিকসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আরও কয়েকজন খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশি সংবাদকর্মী ওই মসজিদেই নামাজ আদায় করার জন্য গিয়েছিলেন। তবে হামলার শুরুতেই তারা হোটেলে ফিরে যান।
এরপর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে আসছেন।
ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি রয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি। হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা শোক জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হামলার ঘটনায় শোক জানিয়েছেন।
এর আগে হামলার পরপরই নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন একে সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই হামলাকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে অন্ধকার দিন হিসেবেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
হামলার পর স্থানীয় সকল নাগরিককে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেখানকার মুসলমানদের আজ রাত পর্যন্ত মসজিদে গিয়ে প্রার্থনা না করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।