শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া, পেঁয়াজে স্বস্তি

সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া, পেঁয়াজে স্বস্তি

নিউজ ডেস্কঃ কাঁচাবাজারে সবজির দাম এখনও বেশ চড়া। আলু ও পেঁপে ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মাংস, তেল ও ডিম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের চালসহ মুদি পণ্যের দাম।শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সজনা ও বরবটি। গত সপ্তাহের মতো বাজার মানভেদে সজনা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি। শিম গত সপ্তাহের মতো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, ফুলকপি ও বাধাকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, শালগম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। পেঁপে আগের মতোই ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, গাজর পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। আর গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।তবে বেড়েছে সব ধরনের ডিমের দাম। মুরগির ডিম প্রতি ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। হাঁসের ডিম ১৫৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ৫ লিটারের প্রতি গ্যালনে রূপচাঁদা ৫০০ টাকা, পুষ্টি ৪৭০ টাকা, তীর ৪৯০ টাকা, ফ্রেস ৪৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খোলা সরিষার তেল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছি।এদিকে এ সপ্তাহে এসে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে গেছে। পেঁয়াজ ও মরিচে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও মাছ ও মাংসের দামে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি কম। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম নতুন করে আর বাড়েনি। আগের সপ্তাহের মতো বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম অপরিবর্তিত রয়েছে লাল লেয়ার মুরগি ও পাকিস্তানি কক মুরগি। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। আর পাকিস্তানি কক মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি আগের মতোই ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে।মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতো সব থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। এই মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং চাষের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর ২৮ নম্বর ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা, প্যাকেট ৩২ টাকা, চিনি আমদানি করা ৫০ টাকা, ডাল ৪০ থেকে ৯০, লবণ ৩০ থেকে ৩৫, পোলাউর চাল ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com