স্টাফ রিপোর্টার: কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে একসঙ্গে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমরা একসঙ্গে লড়ব। ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রব, মোস্তফা মোহসিন মন্টুসহ আমরা সবাই এক আছি। ভুল বোঝাবুঝির কোনো কারণ নেই। ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার প্রথম দাবি হলো- বেগম জিয়ার মুক্তি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত গণঅনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যুতে ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির পাশে থাকবে জানিয়ে মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি দিলে ক্ষমতাসীনরা বাইরে থাকতে পারবে না। তাই সহজে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেবে না। কাজেই রাজপথের কর্মসূচি দিতে হবে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পাশে থাকবে।
সরকার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক এ ভিপি বলেন, সরকার আমাদের ঐক্য ভেঙে দিতে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আপনারা মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না। আমাদের ঐক্য অটুট আছে।
ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, একটি কুচক্রী মহল গুজব ছড়াচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় না, ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলন কর্মসূচিতে খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু নেই। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফার ভিত্তিতে ঐক্য গড়েছে, তার প্রথম দফাই হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি। তাই আমি বলব, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে অনশন কর্মসূচিকে যুগোপযোগী আখ্যা দিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘যেদিন খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হবেন, ঢাকা মহানগরীতে মানুষের ঢল নামবে। সব মানুষ একসঙ্গে হবে। খালেদা জিয়া তখন মানুষের মুক্তির কথা বলবেন, গণতন্ত্রের মুক্তির কথা বলবেন। তাই লড়াইটা খুব সহজ নয়।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই, আজকে যে কর্মসূচি দিয়েছেন, একটা যথাযথ কর্মসূচি দিয়েছেন। আমি আশা করব, এ কর্মসূচি আরও বাড়বে। আমি আশা করব, এ কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে রাজপথে যাবে। আপনাদের সেই আন্দোলনের সঙ্গে আমরা আছি।
গণঅনশনে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।