বুধবার, ২৩ Jul ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাজশাহীতে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির বিমানটি ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিতে চেয়েছিলেন পাইলট প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে বিল নিয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলার চেষ্টা, কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে তোলপাড় উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে নিহত অন্তত ১৯, আহত অর্ধশতের বেশি— ফায়ার সার্ভিসের ডিজি সুমন-সোলাইমান-রনির নেতৃত্বে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত, জাতিসংঘের খাদ্যবহরেও হামলা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করতে হবে: আদিলুর রহমান খান শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবী ‘একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ খরিপের পর রবি সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন লালমনিরহাটের চাষিরা
রক্তাক্ত রিফাতকে একাই হাসপাতালে নেন মিন্নি

রক্তাক্ত রিফাতকে একাই হাসপাতালে নেন মিন্নি

ভিশন বাংলা ডেস্ক: সকাল ১০টা ২১ মিনিট। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি একাই একটি ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে রক্তাক্ত ও অচেতন রিফাত শরীফকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান। সেখানে দাঁড়ানো এক যুবক রিফাত তাদের দিকে দৌড়ে আসেন। রিফাতের অবস্থা দেখে তিনি হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকেই এগিয়ে আসেন। এরপর রিকশা থেকে নামিয়ে অচেতন রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের একটি ভিডিও কালের কণ্ঠের হাতে পৌঁছেছে। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনের একটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রিফাতকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে কোপানোর পর তার স্ত্রী মিন্নি একাই রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভিডিওতে দেখা যায়, রক্ত মাখা হাতে মিন্নি হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারো সাথে কথা বলে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। এর কিছু সময় পরে মিন্নির বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন কিশোর হাসপাতালে আসেন।

এরপর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের অ্যাস্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে এনে রিফাতকে বহন করে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

এরপর ১০টা ৪৪ মিনিটের সময় অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাতকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমান অ্যাস্বুলেন্সে তোলা হয়। এরপর রিফাত শরীফকে বহন করা অ্যাস্বুলেন্সটি ১০টা ৪৯ মিনিটের সময় বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রঙ্গন ত্যাগ করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের দিকে রওনা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ও বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সিসি ক্যামেরা আছে। তবে এই ভিডিওটি কোন ক্যামেরার ধারণ করা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসায় অবস্থান করছেন মিন্নি। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে মিন্নির সাথে কথা বলেনি এই প্রতিবেদক। তবে এ বিষয়ে মিন্নর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি আমি সংগ্রহ করে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে দিয়েছি। মিন্নি যে রিফাত শরীফতে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, তা কলেজের সামনের ভিডিও এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভিডিওতে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত। আমার মেয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই কলেজের সামনের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু হাসপাতালের সামনের এই ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়ছে। কিন্তু তা পারেনি। তিনি বলেন, এরকম আরো একটি ভিডিও আমার সন্ধানে আছে। আমি সেই ভিডিওটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com