শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনাসহ নানবিধ অপকর্মে একে একে উঠে আসছে যুবলীগ নেতাদের নাম। তাদের পাহড়সম সম্পদের হিসেব সামনে আসায় সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়কগাছ। এমন পরিস্থিতিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
পদত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।
জামাল উদ্দিন বলেন, সংগঠনের দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মনে করে, যুবলীগের শীর্ষ পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুনুর রশীদ। তাই আপনারা দ্রুত পদত্যাগ করে যুবলীগের ভাবমূর্তি রক্ষা করুন।
যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে এতদিন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ক্ষোভ জানানিয়ে তিনি বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিএনপি থেকে আসা নেতা জি কে শামীম, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে যুবলীগে জায়গা দিয়েছেন, বড় পদে বসিয়েছেন। সুসময়ে জি কে শামীম-খালেদ ভূঁইয়াদের সঙ্গে নিয়ে চললেন, কিন্তু গ্রেফতারের পর আর তাদের চিনতে পারেন না।
যুবলীগের কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক জামাল বলেন, নিয়মিত নেতৃত্বের পরিবর্তন না হওয়ার কারণে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।
গণমাধ্যমে ওমর ফারুকের দেয়া বক্তব্যকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে জামাল বলেন, তিনি এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছেন, যা দেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ।
তিনি বলেন, তাদের আশ্রয়দাতা কারা? তাদের দলে কে জায়গা দিয়েছে? তারা কখনই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চর্চা করেন না। তারা টাকা দিয়ে পদ নিয়ে নানান অপকর্ম করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করা হয়।