বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন এম এ মন্নান ‘ডেঙ্গু রোধে সরকার সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে’ বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে : প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে মনুষ্যত্ব যেন না হারায় : তথ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কর্মসংস্থানভিত্তিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির এক দিনে আরও ৭২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি ফ‌রিদপু‌রে জাল সনদধারী ১০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, মামলার নি‌র্দেশ সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন পুলিশকে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির মোংলা বন্দরে নিলামে উঠছে ১৪৭ বিলাসবহুল গাড়ি
রাখাইনে ফের ৫ গণকবরের সন্ধান, ৪শ’ লাশ থাকার দাবি

রাখাইনে ফের ৫ গণকবরের সন্ধান, ৪শ’ লাশ থাকার দাবি

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নতুন করে আরো ৫টি গণকবর পাওয়ার প্রমাণ হাজির করেছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি। এপি জানিয়েছে, মিয়ানমারে নতুন করে কিছু গণকবরের প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে।

বার্তা সংস্থাটি বলছে, তারা যেসব তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে তাতে মনে হচ্ছে গত অগাস্ট মাসে সেনাবাহিনীর অভিযানে রাখাইন রাজ্যের গু দার পিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এপির ভাষ্য অনুযায়ী, স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্রের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বর্ণনা মিলে যাচ্ছে। স্যাটেলাইটের চিত্র এবং রোহিঙ্গাদের ভাষ্য অনুযায়ী অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে।

এসব গণকবরে ৪শ’র মতো মানুষকে চাপা দেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যে গ্রামটির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয় না মিয়ানমার সরকার। সুতরাং ঐ গ্রামে আসলে ঠিক কতজন মারা গেছে, তা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, তারা ঐ গ্রামের স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া কিছু ছবি সংগ্রহ করেছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেবার কিছু ভিডিও-ও তাদের হাতে এসেছে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গারা ৭৫ জনের মৃত্যুর তথ্য একত্রিত করেছে। গ্রামবাসীরা বলছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪শ’র মতো হবে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলেছে, বাংলাদেশে অবস্থানরত যেসব রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই বলেছেন যে গু দার পিন গ্রামের উত্তরদিকে যে প্রবেশপথ রয়েছে, সেখানে তারা তিনটি বড় গণকবর দেখেছেন। অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা জানিয়েছেন যে, পাহাড়ের কাছে একটি কবরস্থানে তারা দুটি কবর দেখেছেন। জায়গাটি গ্রামের একটি স্কুলের কাছাকাছি। গ্রামে হত্যাকাণ্ড চালানোর পর ১শ’র বেশি সেনা ঐ স্কুলে তাদের ঘাটি গেড়েছিল।

ঐ গ্রাম থেকে যেসব রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে জীবন বাঁচিয়েছেন, তাদের ধারণা অগাস্ট মাসের ২৭ তারিখের হত্যাকাণ্ড ছিল বেশ পরিকল্পিত। হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য সেনারা শুধুই রাইফেল, ছুরি, গ্রেনেড এবং রকেট লঞ্চার আনেনি- সঙ্গে অ্যাসিডও নিয়ে এসেছিল তারা। অ্যাসিড দিয়ে নিহতদের মুখমণ্ডল এবং শরীরের অংশ ঝলসে দেয়া হয়, যাতে তাদের চিহ্নিত করা না যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রায় ২০০ সেনা ঐ হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিল। বিবিসি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com