ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : যুবলীগ নেতা সোহেল রানার কান্ডে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।দীর্ঘদিন যাবত এলাকার নারীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অভিযোগ ও দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ,ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মুখে ডিসি বস্তির বাসিন্দা মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে ঠাকুরগাঁও পৌর যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সোহেল রানা দীর্ঘদিন যাবত এলাকার নারীদের উত্যক্ত করে আসছে। গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত একটার দিকে একই এলাকার মৃত উজ্জলের স্ত্রী মর্জিনার অনুমতি ছাড়াই ঘরে ঢোকে। এসময় তাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। পরে স্থানীয় যুবক তনু চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে সোহেলের সাথে তার হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় স্থানীয়রা টের পেয়ে সোহেল রানাকে আটক করে রাখে এবং গণ পিটুনি দেয়।
পরে রাত দুইটার দিকে সোহেলের বড় ভাই আজম এসে সকালে সুষ্ঠু বিচার করে দিবে বলে আশ্বস্ত করলে তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু পরের দিন তাকে আর পাওয়া যায়নি।ঘটনার বিচার চেয়ে তনু ফেসবুকে একটি স্টাটাস দিলে তাকে দেখে নেবার হুমকি আসতে থাকে।সোহেলের আটকের বিষয়ে একটি ভিডিও ফেসবুকে ঘুরপাক খাচ্ছে। বৃহস্পতিবার(৩১ আগষ্ট)ভুক্তভোগী মর্জিনা এলাকায় গণস্বাক্ষর নিয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে জানতে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুরের কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আমির হোসেন রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা যুবলীগ ও পৌর যুবলীগ বরাবর মর্জিনা বেগম নামে এক মহিলা সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার এক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।সোহেলকে ইতিমধ্যে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা যুবলীগের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।