শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

মোংলা বন্দরে আমাদনীকারকের শ্রেষ্ঠ সম্মামনা পেলেন সাহার এন্টারপ্রাইজ

মোংলা বন্দরে আমাদনীকারকের শ্রেষ্ঠ সম্মামনা পেলেন সাহার এন্টারপ্রাইজ

মোংলা প্রতিনিধি: খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বর্তমান মোংলা বন্দর সেই আগের মোংলা বন্দর নেই। এখন বিশ্বের কাছে আর্ন্তজাতীক বন্দরে রুপান্ত্রীত হয়েছে। ৯০ দশকে এক সময়ের এ মোংলা বন্দর ছিল মৃত্য বন্দর। তাই এখন মৃত্য বন্দরকে জীবিত করা হয়েছে। আর সামান্য কিছু পথ অতিক্রম করতে পারলেই এ বন্দরই হবে দেশের উন্নতমানের শ্রেষ্ঠ বন্দর। ফয়লা বিমান বন্দর, রেল লাইন, পদ্মা সেতু ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ শেষ হলেই বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়াবে মোংলা সমুদ্র বন্দর। এ বন্দরের শুফল এখন থেকেই ব্যাবসায়ীরা ভোগ করতে শুরু করেছে। ইতি মধ্যেই দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এ বন্দর ব্যাবহার করার জন্য বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারত, নেপাল, ভুটানসহ কয়েকটি দেশ মোংলা বন্দর ব্যাবহার করছে তা ছাড়া আরো বিদেশী বিনিয়োগকারীরা এ বন্দর ব্যাবহারের জন্য প্রস্তাবনা পেশ করেছে। তাই বন্দরকে আরো গতিশীল করতে নানা উদ্দোগ গ্রহন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এ কথা বলেন। গতকাল নানা উৎসব ও আয়োজনের মদ্যদিয়ে মোংলা সমুদ্র বন্দরের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১০ টায় বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্যেগে একটি শোভা যাত্রা বের হয় বন্দর এলাকায়। এ সময় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা বাষির্কীর উদ্বোধন করেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষায়ক মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। পরে বন্দর ভবন চত্বরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। এ অনুষ্ঠানে বন্দরের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সম্ভাবনার নানা বিষয় উঠে আসে আমন্ত্রিত অতিথি ও বন্দর ব্যবহারকারীদের বক্তব্যে। এ অনুষ্ঠানে মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারকারী ও স্বর্চ্ছ পণ্য আমাদানীকারক মেসার্স ‘সাহারা এন্টার প্রাইজ’ এর স্বত্তাধিকারী আবু তাহের রাজুকে সম্মামনা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। তার এ প্রতিষ্ঠানটি গত এক বছরে মোংলা বন্দরের মাধ্যামে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮শ’ ৭৪ মেট্রিক টন, বিভিন্ন পন্য আমাদানী করে। এতে লেভী ও পোর্ট ডিউস বাবদ বন্দরের আয় হয় ৫কোটি ২ লাখ ৫৩ হাজার ২৪ টাকা। আর ৮০ কোটি ৮২ লাখ ২৭ হাজার ২শ’ ২২ টাকা কাষ্টমস শুল্ক বিভাগ রাজস্ব আয় করে শুধু মাত্র এ প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে। ২০১২ সালে রাজ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধীকারী আবু তাহের রাজু চট্রগ্রাম জেলার সেরা করদাতা ও রফতানীকারক হিসেবে সরকারি ভাবে সিআইপি সন্মানে মনোনীত হন। এ ছাড়া বন্দর উন্নয়নে গুরুত্ব পূর্ন অবদান রাখায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকেও সম্মামনা প্রদান করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৫০ সালের এ দিনে চালনা এ্যাংকারেজ পোর্ট নামে মোংলা সমুদ্র বন্দরের যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নানা সমস্যা মোকাবেলা করে পণ্য আমাদানী রফতানি ও রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে মোংলা সমুদ্র বন্দর। এ সময় খুলনা বিভাগের পুলিশ কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন আহাম্মেদ, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন আর রশিদ, জেরা পুলিশ সুপার পঙ্কচ চন্দ্র রায়, মোংরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান, কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মিনারুল হক, বন্দরের সদস্য অর্থ ও যুগ্ন সচিব আফসানা ইয়ামিন, সদস্য হারবাড় ও মেরিন ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী, পরিচালক প্রশাসন মোঃ গিয়াস উদ্দিনসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের উর্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজিৈতক ব্যাক্তিবর্গ ও বন্দর ব্যাবহারকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com