সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু
২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে নিহত ৯৪৫ জন শ্রমিক

২০১৯ সালে কর্মক্ষেত্রে নিহত ৯৪৫ জন শ্রমিক

ভিশন বাংলা ডেস্ক :

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ২০১৯ সালে মোট ৯৪৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২৬৬ জন। এদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিহত ২৬৯ জন এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ৬৭৬ জন নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি-২০১৯’ শীর্ষক এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (ওশি)।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫টি জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর এবং ওশি’র উদ্যোগে মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে।

সেক্টরভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২৯৪ নিহত হয়েছে, ১৫৬ জন শ্রমিক নির্মাণ খাতে প্রাণ হারায়, পোশাক শিল্পে নিহত ৪০ জন, কৃষি-শ্রমিক নিহত হয়েছে ৯৮ জন এবং দিনমজুর মারা গেছে ৪৯ জন।

এছাড়া ২৩ জন জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে কর্মরত শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য বিবিধ সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।

ওশি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারপার্সন ড. এস এম মোরশেদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলম হোসেন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা রিয়াদ আরিফ।

প্রতিবেদনে কর্মস্থলে হতাহতের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে কর্মস্থলে আসা-যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা স্থাপনা থকে পড়ে যাওয়া, বজ্রপাত, বয়লার ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, গৃহ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন এবং ধাতব আঘাতের কথা বলা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে ওশির সুপারিশগুলো হচ্ছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত ২০১৮) ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর আলোকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানের কার্যকর প্রয়োগের লক্ষ্যে নজরদারি বাড়ানো, বয়লার পরিদর্শকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং বয়লার পরিদর্শন দপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা, কর্মস্থলে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ইউনিট চালু করা।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com