সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

মোংলা পৌর শহরে খাল দখলমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

মোংলা পৌর শহরে খাল দখলমুক্ত করলো উপজেলা প্রশাসন

মোংলা প্রতিনিধি: মোংলা পৌর শহরে সরকারি রেকডিয় ঠাকুরানী খাল দখল করে বসত বাড়ি ও স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের পশ্চিম পাশে কাউকে কিছু না বলে গোপনে রোকজন নিয়ে খালের উপর বেড়া-ঘেরা দিয়ে বসত ঘর নির্মান করতে ছিল দখলদারেরা। কবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে জবরদখলকারী চক্রের কবল থেকে খালটি দখলমুক্ত করলেন উপজেলা প্রশাসন। গুড়িয়ে দেয়া হলো সদ্য স্থাপিত বেড়া ঘেরা ও স্থাপনা।
মোংলা পোর্ট পৌর এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফায়ার সাভিসের পশ্চিম পাশে চাঁদপাই ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন এ খালটি সিএস খতিনে অন্তরভুক্ত ছিল এ খালটি। তবে দু’পাড় থেকে স্থানীয় দখলবাজরা ভরাট করে খালে মাঝ সিমানায় পৌছে দিয়েছে বন্দর সৃষ্টির আগের পুরনো সরকারী রেকডিয় এখালটি। সোমবার দুপুরে প্রকাশ্য বেড়াঘেরা সহ ভরাটের প্রস্তুতি নেয় জনৈক মোশারফ হোসেন নামের এক দখলবাজ। এলাকাবাসীর মাধ্যমে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান মোংলা উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার (ভুমি) নয়ন কুমার রাজ বংশি সহ ভুমি জরিপ দলের সদস্যরা। এ সময় ঘটনাস্থলে দখলকারীর প্রদর্শীত কাগজপত্র যাছাই বাছাই সহ অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী এ খাল দখলের প্রক্রিয়ায় লিপ্ত  হলে জেল জরিমানা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) নয়ন কুমার রাজ বংশি।


উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভুমি) নয়ন কুমার রাজ বংশী জানান, এক সময়ের সকলের পরিচিত পুরনো সরকারের রেকডিয় ঠাকুরানীর খালের দু’পাড়ে ভরাট করছে এখানকার দখলজাবরা। তার খালের যেটুকু রয়েছে তা দিয়ে অত্র এলাকার জনগনের পানি নিস্কাশনের এক মাত্র ব্যাবস্থা এ ঠাকুরানী খাল। ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকা থেকে  মোসারেফ হোসেন নামের এক ব্যাক্তি খালটি বেড়াঘেরা সহ ভরাটের প্রস্তুতি নেয়। ঘটনাস্থলে এসে খালটিকে দখল মুক্ত করা হলো এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মোংলা উপজেলার ঠাকুরানী খালসহ সরকারী সকল রেকডিয় খাল উম্মুক্ত করা হবে বলেও জানায় শহকারী কমিশনার ভুমি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com