রবিবার, ২৭ Jul ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে দেশীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর হাতে আটক ৫টি ফিশিং ট্রলারসহ ৬৩ জন ভারতীয় জেলে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। আর্šÍজাতিক জলসীমা অধ্যাদেশ বিধি লঙ্গনের দায়ে দীর্ঘ প্রায় ৪ মাসের মতো সময় বাগেরহাট জেলা কারাগারে ছিল এ সকল জেলেরা। দীর্ঘ দিন পরে দু’দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মধ্যস্থতা ও আইনী প্রক্রিয়ার শেষে ভারতীয় জেলেদের ট্রলারসহ বুঝে নেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার। আটকের ৪ মাস পর তাদের নৌ-যান (ফিশিং ট্রলার) ও ব্যাহৃত মালামালসহ বুধবার বিকালে মোংলা থেকে স্বদেশে যাত্রা করেনে জেলেরা।
ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মধ্যস্থতা ও আইনী প্রক্রিয়ায় শেষে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ৬৩জন ভারতীয় জেলেদের ট্রলার ও ব্যাবহৃত মালামালসহ বুঝে নেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার পান্ডা। বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের পক্ষে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশ প্রসাশনের উপস্থিতিতে মোংলা ফেরীঘাট থেকে মঙ্গলবার বিকালে সমুদ্র পথেই ৫টি ফিশিং ট্রলারসহ ভারতের স্বদেশে রওয়ানা হয়েছেন ভারতীয় এ সব জেলেরা।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশি জানান, বঙ্গোপসাগরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আদুরে প্রায় ৭০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার দেশেীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে ভারতীয় জেলেরা। বাংলাদেশের নৌ-বাহিনীর সদস্যরা দেশীয় সমিানায় প্রবেশ ও মাছ ধরার অভিগোগে গত অক্টোবর মাসে ৪ দফায় ট্রলার সহ ভারতীয় এ সকল জেলেরা নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের টহলরত অভিযানকারী দলের সদস্যদের হাতে আটক হয়েছিল। পরে কোষ্টগার্ড ও নৌ-সেনারা ট্রলারসহ জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করলে পৃথক মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ। দীর্ঘ প্রায় কয়েক মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে ২৯ জানুয়ারী দুপুরে জেল থেকে ছাড়া পায় এ সকল ভারতীয় জেলেরা।
তাদের স্বদেশ যাত্রা নিশ্চিত ও নিরাপদ করতে বুঝে দেয়া হয় আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আটকের সময় জেলেদের কাছ থেকে জব্ধ করা সকল মালামাল। এছাড়াও আদালতের মাধ্যমে ভারতীয় জেলেদের মুক্তির বিষয়টি নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডকে অবহীত করা হয়েছে বরেও জানান নির্বাহী কর্মকর্তা।
দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে নানাভাবে নিজেদের অনুভুতি প্রকাশ করেন সদ্য কারামুক্ত ভারতীয় এসব জেলেরা। তারা সতুফ্রুতভাবে প্রসংশা করেন বাংলাদেশের প্রশাসন, কারাগার, আদালত ও অইনী প্রক্রিয়ার। একই সঙ্গে জলসীমা বিধি লঙ্গন ও অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে নিজেরা আরও বেশি সচেতন হবেন এবং অন্য জেলেদেরও সচেতন করে তুলবেন তারা।
উল্লেখ্য, দেশীয় জলসীমায় প্রবেশ করার কারনে গভীর সাগর থেকে গত ১ অক্টোবর ১৫ জন, ৪ অক্টোব ২৩ জন ও ১৪ অক্টোবর ১১ জন, ২২ অক্টোবর ১৪ জন, ১০ ডিসেম্বর ১৪জন এবং ১৭ জানুয়ারী ২৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ৯টি ট্রলারসহ ১০৩ জন ভারতীয় জেলে কোষ্টগার্ড ও নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়। তা থেকে ৫টি ট্রলার ও ৬৩ জেলে মুক্ত হলেও ৪টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪০ জেলে বর্তমানে বাগেরহাট জেল হাজতে আছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।