রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
সাংবাদিকের পকেটে জোরপূর্বক টাকা দিলেন শিক্ষা অফিসার!

সাংবাদিকের পকেটে জোরপূর্বক টাকা দিলেন শিক্ষা অফিসার!

ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে সাংবাদিকের পকেটে জোরপূর্বক টাকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুরের পর সংবাদ সংগ্রহের কাজে তার কার্যালয়ে গেলে তিনি ওই সাংবাদিককে এভাবেই ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

জানা গেছে, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পদে পদে ঘুষ বাণিজ্য, নানান কৌশলে টাকা আদায় ও বিভিন্ন কাজের জন্য টাকার রেট নির্ধারণ করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার অফিসে গেলে চা খাওয়ার জন্য সংবাদকর্মীর পকেটে জোরপূর্বক এক হাজার টাকার একটি নোট গুঁজে দেন ওই শিক্ষা অফিসার।

তার ‍বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তার নির্দেশে শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, পিটিআই ট্রেনিং, ছুটির জন্য এমনকি অবসরের পর পেনশনের টাকা তুলতেও ঘুষ বাণিজ্য চলছে অবাধে।

কোনো শিকক্ষ, কর্মচারী বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে যেন মহাখুশি শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলী। কারণ তদন্তের নাম করে সেখানে বাণিজ্য করেন তিনি। সেই সব অভিযোগ তদন্ত করাতে যেমন টাকা লাগে, তেমনি তদন্ত টিমের কার্যক্রম থামিয়ে দিতেও টাকা ছাড়া কাজ হয় না এ কর্মকর্তার কাছে। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট এই কর্মকর্তা রুটিন পরিদর্শনে গেলেও তাকে খুশি করতে হয়।

ঘুষ লেনদেন বাণিজ্য সফল করতে সহকারী শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন কর্মচারী গড়ে তুলেছে আলাদা একটি সিন্ডিকেট। এই ঘুষের পরিমাণ ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, টাকা ছাড়া শিক্ষকের ছুটির আবেদনেও স্বাক্ষর না করার।

এছাড়াও টাকার বিনিময়ে জুনিয়র শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের সুযোগ করে দিচ্ছেন তিনি। অথচ আবেদন করেও দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাচ্ছেন না সিনিয়র শিক্ষকরা। এমন অভিযোগ অহরহ তার বিরুদ্ধে।

এ সকল অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। কোনো অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহাজাহান সিদ্দিক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারে বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com