শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় কারাগারে বন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মুক্তির পর তাকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ ৭৭৫ দিন পর ফিরোজায় ফিরলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে বের হন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে সরাসরি গুলশানে নিজ বাসভবন ফিরোজায় যান তিনি।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছায়। এসময় খালেদার বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে বিকেল ৪টার পর কারান্তরীণ খালেদাকে মুক্তি দেয়া হলে তিনি বিএসএমএইউ প্রাঙ্গণে রাখা গাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে খালেদাকে বহনকারী গাড়ি ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খালেদার সঙ্গে তার গৃহকর্মী ফাতেমাও বের হন। তবে ফাতেমা অন্য গাড়িতে করে বাসায় ফেরেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সরকারের পক্ষ থেকে খালেদার মুক্তির সিদ্ধান্ত জানানো হলে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে (করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট) সরকার তার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে এই সাজা স্থগিত থাকবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত সুপারিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে সেখানে বিএনপি প্রধানের কারামুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। সর্বশেষ তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যায়। ফাইলে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তা যায় কারা অধিদফতরে। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তি পান বিএনপি প্রধান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।